রবি আজিয়াটা লিমিটেড ২০১৬ সালে এয়ারটেল বাংলাদেশের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর নির্ধারিত শর্ত মানছে না—এমন অভিযোগ তুলেছে দেশের দুই শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক।
অপারেটর দুটির দাবি, একীভূতকরণের প্রায় নয় বছর পরও রবি এয়ারটেলকে একটি স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড হিসেবে চালাচ্ছে, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও হাইকোর্টের নির্দেশনার সরাসরি লঙ্ঘন।
বিটিআরসিকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক উল্লেখ করেছে, একীভূতকরণের অনুমোদনে ২০ নম্বর শর্তে স্পষ্টভাবে বলা ছিল, রবি কেবল ‘রবি আজিয়াটা লিমিটেড’ নামেই সব ধরনের বিজ্ঞাপন, বিপণন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পাশাপাশি ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের রায়েও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির শর্তসমূহ সম্পূর্ণভাবে অনুসরণের নির্দেশনা ছিল।
অপারেটর দুটি অভিযোগ করেছে, নির্দেশনা উপেক্ষা করে রবি সমান্তরালভাবে ‘এয়ারটেল’কে একটি পৃথক ইকোসিস্টেম হিসেবে বজায় রেখেছে। বাজারে এখনো এয়ারটেল ব্র্যান্ডের সিম পাওয়া যাচ্ছে, অনেক দোকানে এয়ারটেলের সাইনবোর্ড ও বিশেষ বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে, এমনকি আলাদা ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এয়ারটেল নামেই প্যাকেজ ও গ্রাহকসেবা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণফোন আরও বলছে, এয়ারটেলের ডেটা অফার, রিচার্জ, রোমিং, আন্তর্জাতিক কল রেট ও ভিওএলটিই সেবা পর্যন্ত পৃথকভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
গ্রামীণফোনের মতে, এসব কার্যক্রম গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে এবং বাজারে ‘ন্যায্য প্রতিযোগিতা’ ব্যাহত হচ্ছে। কোম্পানিটি বলছে, রবি অন্যায়ভাবে এয়ারটেলের দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ভ্যালুকে ব্যবহার করছে, যা একীভূতকরণের শর্তবিরুদ্ধ।
বাংলালিংকও একই অবস্থান জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, রবি এখনো ‘০১৬’ নম্বর সিরিজের সিম সক্রিয়ভাবে বিক্রি করছে এবং এয়ারটেল ব্র্যান্ডে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে, যদিও বিটিআরসির এমন ব্যবহারের কোনো অনুমোদন বা মেয়াদবৃদ্ধির প্রমাণ নেই।
অপারেটরদের অভিযোগ বিবেচনায় বিটিআরসির এখন কী পদক্ষেপ নেবে, সেটির দিকে নজর রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
