কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুত প্রযুক্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নিলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শ্রমবাজারে। বিদায়ী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৫ হাজার চাকরি হারানোর পেছনে সরাসরি এআই দায়ী এমন তথ্য জানিয়েছে সিএনবিসি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবল এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাস–এর তথ্যের ভিত্তিতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মোট চাকরিচ্যুতি হয়েছে প্রায় ১ দশমিক ১৭ মিলিয়ন, যা করোনা মহামারির পর সর্বোচ্চ। এর একটি বড় অংশই প্রযুক্তিগত অটোমেশন ও এআই ব্যবহারের কারণে। শুধু নভেম্বর মাসেই চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৭১ হাজার মানুষ, যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজার বা ৯ শতাংশ চাকরি গেছে এআইয়ের কারণে।
অ্যামাজন, ওয়ালমার্টসহ বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এআই–নির্ভর অটোমেশন বাড়ার ফলে বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী চাকরি হারাচ্ছেন। বিশেষ করে ডাটা এন্ট্রি, কাস্টমার সার্ভিস, প্রশাসনিক সহায়তা ও প্রাথমিক পর্যায়ের অফিসিয়াল কাজগুলোতে এআই মানুষের জায়গা নিচ্ছে দ্রুত।
সংবাদমাধ্যম ইনক জানায়, অনেক প্রতিষ্ঠান এআইয়ের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে হায়ারিং ফ্রিজ জারি করেছে। এর সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগছে নতুন ও তরুণ কর্মীদের ওপর। ওলফ রিসার্চের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টেফানি রথ বলেন, এআই সরাসরি সব কাজ কেড়ে নিচ্ছে না, তবে কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করায় নতুন নিয়োগ কমে যাচ্ছে, ফলে যুব বেকারত্ব বাড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এআই শ্রমবাজারে একদিকে উৎপাদনশীলতা বাড়ালেও অন্যদিকে কর্মসংস্থানের কাঠামো বদলে দিচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে টিকে থাকতে হলে কর্মীদের নতুন দক্ষতা, প্রযুক্তি জ্ঞান ও পুনঃপ্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
