ঢাকা     ২২ আগস্ট ২০২৫ ||  ৭ ভাদ্র ১৪৩২

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

আইপিও শেয়ার বণ্টন

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব বিএসইসির

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ৯ মার্চ ২০২১

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব বিএসইসির

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার বণ্টনের ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বর্তমানে আইপিওতে অনিবাসী বাংলাদেশীসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ৬০ শতাংশ এবং বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রয়েছে।

সম্প্রতি ২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যুর রুলসের কিছু উপধারায় পরিবর্তন এনে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়ার ওপর এ বছরের ১৫ মার্চের মধ্যে কমিশনের কাছে আপত্তি, মতামত কিংবা পরামর্শ জানাতে বলা হয়েছে।

খসড়ায় আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বণ্টনের ক্ষেত্রে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) জন্য ২০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড ১০ শতাংশ, অনিবাসী বাংলাদেশী ৫ শতাংশ এবং ব্যক্তি শ্রেণীর অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ইআইদের জন্য ৩০ শতাংশ, অনিবাসী বাংলাদেশী ৫ শতাংশ এবং অন্য ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সমন্বিতভাবে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত আন্ডার সাবস্ক্রিপশনের ক্ষেত্রে অবলেখককে সেটি কিনে নিতে হবে। আর যদি ৩৫ শতাংশের বেশি আন্ডার সাবস্ক্রিপশন হয়, সেক্ষেত্রে আইপিও বাতিল হয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত খসড়ায় ফিক্সড প্রাইস ও বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর আকারের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোম্পানির আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে সেক্ষেত্রে কোম্পানি যে পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করতে চায়, সেটিসহ পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ অর্থ উত্তোলন করতে হবে। একইভাবে আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে হলে এর পরিমাণ হবে ২০ শতাংশ আর আইপিও-পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকার ওপরে হলে এর পরিমাণ হবে ১০ শতাংশ।

ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর ক্ষেত্রে কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে চায় এর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অভিহিত মূল্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে। আর বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কাট অফ প্রাইসের (প্রান্তসীমা মূল্য) ভিত্তিতে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ আইপিওর অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।