ঢাকা     ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে ইলন মাস্কের মুখোমুখি চীনের গিলি

বিজটেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৪ মার্চ ২০২১

আপডেট: ১৬:১২, ২৪ মার্চ ২০২১

বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে ইলন মাস্কের মুখোমুখি চীনের গিলি

বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির বাজারে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলার জায়গা নিতে এবার চলে এসেছে চীন। মঙ্গলবার দেশটির অন্যতম বৃহৎ গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি গিলি উদ্বোধন করেছে তাদের প্রিমিয়াম বৈদ্যুতিক গাড়ি।

ব্যক্তি মালিকানাধীন গিলি বর্তমানে চীনের অন্যতম বৃহৎ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। কয়েক বছর আগে গিলি কিনে নিয়েছিল সুইডেনের বিখ্যাত ভলভো কারস ব্র্যান্ডটি। গিলির গাড়ির ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে গিলি, লিংক অ্যান্ড কো, জিওমেট্রি ও পোলস্টার। এগুলো সবই বিদ্যুৎ–চালিত। এছাড়া মালয়েশিয়ার গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রোটনের প্রায় ৫০ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি লোটাসের ৫১ শতাংশের মালিক গিলি। 

বৈদ্যুতিক গাড়ির সবচেয়ে বড় বাজার হলো চীন। বৈশ্বিক বিক্রির প্রায় অর্ধেকই হয় এশিয়ার দেশটিতে। এ জন্য স্থানীয় ও বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো শুরু থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে চীনের বাজারের দিকে নজর রেখেছে। করোনা মহামারির এই সময়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। অনেক গাড়ি কোম্পানি কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর প্রয়াস চালাচ্ছে। ফলে, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে প্রায় সব গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিই। গিলিরও লক্ষ্য এই চীনের বাজার নিজেদের মুঠোয় রাখা।

সম্প্রতি কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমাতে অভিনব প্রযুক্তি তৈরি করতে আহ্বান জানান টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। সেই আহ্বানেই যেন সাড়া দিল গিলি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। 

গিলি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন এই প্রিমিয়াম গাড়ি ব্র্যান্ডের নাম জিকর। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে এটি। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিক থেকে সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছে তারা। 

চীন চায়, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের রাস্তায় চলা এক–পঞ্চমাংশ গাড়ি বৈদ্যুতিক হবে। জিকর মূলত টেসলার মডেল ৩–এর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করবে। গত বছর চীনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে টেসলার ওই মডেলের গাড়ি।

গিলি জানায়, ২০২০ সালে কোম্পানিটি ১৩ লাখ ২০ হাজার গাড়ি বিক্রি করে। এর আগের বছর যা ছিল ১৩ লাখ ৬০ হাজার।