ঢাকা     ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করলো বিএসইসি

প্রকাশিত: ২২:১৯, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ২১:৪৩, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করলো বিএসইসি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ফ্লোর প্রাইস (শেয়ার দর কমার সর্বনিম্নসীমা) প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা দেয়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বুধবার বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এবং শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারদরের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন সীমা ১ শতাংশ রাখাতে নির্দেশ দেয়া হলো।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা ১৬৯ কোম্পানির শেয়ার দীর্ঘদিন লেনদেন হচ্ছিলো না। ফলে কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে শেয়ারদর কমার নিম্নসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

বিএসইসির আদেশে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৮ জুলাই জারি করা ফ্লোর প্রাইস আরোপ সংক্রান্ত নির্দেশনা ১৬৯ কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর কমার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়েছে। এতে একদিনে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে এসব শেয়ারের দর। অন্যদিকে এ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়ার উর্ধসীমা ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর জারি করা নির্দেশনা অনুসারে কার্যকর হবে।

এ নির্দেশনা অনুসারে শেয়ার দর ২০০ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। শেয়ার দর ২০০ টাকার উপর হলে এবং ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকবে। ৫০০ টাকার বেশি এবং ১ হাজার টাকা পর্যন্ত শেয়ার দর থাকলে সেক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। শেয়ার দর ১ হাজার টাকার বেশি এবং ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। শেয়ার দর ২ হাজার টাকার উপরে থাকলে এবং ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। আর শেয়ার দর ৫ হাজার টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে।

বিএসইসি ঘোষিত ১৬৯ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের নামের তালিকা :

বিমা খাত: কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, নিটোল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, জনতা ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ও নতুন তালিকাভুক্ত চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ও ঢাকা ইন্স্যুরেন্স।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড: প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড স্কিম ওয়ান, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড,  প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান,  এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেজ জুবিলি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড- ওয়ান, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়া ফান্ড; আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্ডস ফান্ড; এশিয়ান টাইগার সন্ধ্যানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড; সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

প্রকৌশল খাত: আজিজ পাইপস, বিডি অটোকারস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএসআরএম, বিডি ওয়েল্ডিং, দেশবন্ধু পলিমার, ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোড, ইয়াকিন পলিমার, কেঅ্যান্ড কিউ, আরএফএল, নাভানা সিএনজি, অলিম্পিক অ্যাকসেসোরিজ, মুন্নু অ্যাগ্রো, বিডিথাই অ্যালুমিনিয়ম, ডোমিনেজ স্টিল ও রেনউইক যগেশ্বর।

বস্ত্র খাত: দেশ গার্মেন্টস, জাহিন টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সাফকো স্পিনিং মিলস, নুরানী ডায়িং, তাল্লু স্পিনিং, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যাসিফিক ডেনিমস, তুংহাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, আনলিমা ইয়ার্ন, এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, সায়হাম টেক্সটাইল , সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ডেল্টা স্পিনার্স, জাহিন স্পিনিং, স্টাইলক্রাফট, ঢাকা ডায়িং, দুলামিয়া কটন, প্রাইম টেক্সটাইল, ইভিন্স টেক্সটাইল, ফ্যামিলি টেক্স, হামিদ ফেব্রিক্স, রহিম টেক্সটাইল, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ও সোনারগাঁও টেক্সটাইল।

আর্থিক খাত: ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্সিং, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত: জিলবাংলা সুগার মিলস, এমারেল্ড অয়েল, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, প্রাণ, ফাইন ফুডস, বঙ্গজ, বিচ হ্যাচারি, এপেক্স ফুডস, ও শ্যামপুর সুগার মিলস।

ওষুধ ও রসায়ন খাত: এমবি ফার্মা, ইমাম বাটন, সেন্ট্রাল ফার্মা, লিব্রা ইনফিউশনস ও ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস।

তথ্য প্রযুক্তি খাত: ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ইনটেক, অগ্নি সিস্টেমস ও বিডিকম অনলাইন।

ট্যানারি খাত: এপেক্স ট্যানারি,সমতা লেদার ও লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ।

কাগজ ও প্রকাশনা খাত: খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, হাক্কানি পাল্প ও পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।

পাট খাত: জুট স্পিনার্স, নার্দান জুট ও সোনালী আঁশ।

জ্বালানি খাত: ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ও জিবিবি পাওয়ার।

বিবিধ খাত: সাভার রিফ্রাকটরিজ, জিকিউ বলপেন, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ওসমানিয়া গ্লাস, খান ব্রাদার্স পিপিওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, অ্যারামিট লিমিটেড ও এস কে ট্রিমস।

এছাড়াও সেবা ও আবাসন খাতের বাংলাদেশ সার্ভিসেস, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের সমরিতা হসপিটাল এবং সিরামিক খাতের স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।