দেশের প্রধান দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। যদিও টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে, তবে উভয় বাজারেই মূলধন কমে গেছে প্রায় ১০ হাজার ৭৬৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩২ দশমিক ৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮৩ পয়েন্টে। একই সময় ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮ দশমিক ৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সূচক ডিএসএমইএক্স উল্টো বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা সপ্তাহজুড়ে বাজারে একমাত্র ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা গেছে।
সপ্তাহের শেষে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭ হাজার ৯৩৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা কম। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা বেশি। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়, যার মধ্যে ৭৯টির দাম বেড়েছে, ২৯৮টির কমেছে এবং ১৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই ধারা দেখা গেছে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে। সপ্তাহের শেষে সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ হাজার ৮৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা কম। যদিও সূচক কমেছে, তবু সিএসইতে লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি।
সামগ্রিকভাবে, সূচকের পতন ও বাজার মূলধনের হ্রাস বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ইতিবাচক প্রবণতা কিছুটা স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে পুঁজিবাজারে।
