
ইউটিউবের ২০ বছরের পথচলায় এক নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। তরুণদের অপেশাদার ভিডিও শেয়ারের সাইট থেকে আজ এটি দাঁড়িয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্মে। এখন ২.৭ বিলিয়ন ব্যবহারকারীর ভরসার জায়গা ইউটিউব শুধু বিনোদন নয়, হয়ে উঠছে টেকসই ক্যারিয়ার গড়ার মাধ্যমও। আর সেই ভবিষ্যৎ গড়তে কোম্পানির প্রধান ভরসা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কোম্পানির বার্ষিক Made on YouTube ইভেন্টে ইউটিউব জানায়, আগামী দশকগুলোতে কনটেন্ট সৃষ্টির মূল হাতিয়ার হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। গুগল-মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি জানায়, এআই-চালিত নতুন টুলস নির্মাতাদের আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে। যেখানে স্টুডিও বা নেটওয়ার্কের কোনো বাধা থাকবে না।
ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী নিল মোহন বলেন, এআই কোনো চাকরি কেড়ে নেবে না, এটি নির্মাতাদের জন্য হবে সহায়ক হাতিয়ার। ভবিষ্যতের বিনোদন কোনো স্টুডিও, নেটওয়ার্ক বা প্রযুক্তি কোম্পানির একক মালিকানায় থাকবে না। তার দাবি, ভিডিও তৈরি এখন একটি ‘সম্মানজনক ও টেকসই ক্যারিয়ার পথ।’
নিলসেনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিউয়ারশিপে ইউটিউব ১৩.৪ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখে, যেখানে ডিজনির শেয়ার ছিল ৯.৪ শতাংশ। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান মফেটনাথানসন ধারণা করছে, চলতি বছরেই ইউটিউবের আয়ের অঙ্ক ডিজনিকে ছাড়িয়ে যাবে। ডিজনি গত বছর মিডিয়া থেকে প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করে।
অন্যদিকে, অ্যালফাবেট জানিয়েছে—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেষ চার প্রান্তিকে ইউটিউবের বিজ্ঞাপন ও সাবস্ক্রিপশন আয় মিলিয়ে ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।