ঢাকা     ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  ১৪ চৈত্র ১৪৩০

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ইভ্যালি অফিসে গ্রাহককে মারধর (ভিডিও)

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:০০, ১ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১৫:৫৭, ৩ এপ্রিল ২০২১

বিতর্কিত ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে এবার গ্রাহককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পণ্য দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের অফিসে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।  

হাসেম আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগী ফেসবুকে লিখেছেন, আজ ইভ্যালি অফিস থেকে এক বুকভরা কষ্ট নিয়ে বের হয়ে আসছি। আর কখনো যাবো না হয়ত, আর ইভ্যালিকেও আল বিদা।

ইভ্যালিতে দুইটা মোবাইল অর্ডার করেছিলাম। ডেলিভারি না পেয়ে আজকে (বুধবার) গিয়েছিলাম দুপুর ১ টায়। সেই থেকে দুপুর ৪টা অবধি কুকুরের মত দৌঁড়েছি ৩ তালা, নিচতালা, অফিসের বাইরে সব জায়গায়। ৩/৪ জায়গায় ইনভয়েস লিখেছিও..।

কিন্তু দিন শেষে রাত ৮.৩০ এর দিকে ইভ্যালির কর্মীদের হাতে মার খেয়ে বাসায় ফিরেছি। ইভ্যালির কর্মীরা যেভাবে বুকের ওপর আর মুখে ৩/৪ টা ঘুসি দিসে আমাকে ওই রকম ঘুসি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও দিতে পারে না। আমি জানি ভাই আপনি (ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল) আজকে আপনার সকল কর্মীদের অনেক বাহবা দিবেন।

আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে গেছিলাম। কিন্তু দিন শেষে মার খেয়ে এক বুক হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো। আমি ভাই আপনাকে অভিশাপ দিবো না মুখ দিয়ে। তবে স্পষ্ট বলতে চাই আজকের পর আর ইভ্যালি অ্যাপসে আমি ঢুকবো না। মোবাইল ২টি আছে। আরো ৩/৪টা জিনিস আছে। এগুলো পেলে পেলাম না পেলে নাই।

তবে মানুষ এর "রুহ" বলে একটা জিনিস আছে। এটার উপর মানুষের নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আজকে যারা যারা আমার মত মার খেয়ে এক বুক হতাশা নিয়ে বাসায় ফিরেছে তাদের রুহ থেকে যদি অভিশাপ যায় আল্লাহর দরবারে তাহলে সেটা অস্বাভাবিকও কিছু হবে না।

এ বিষয়ে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল লিখেছেন, আমি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ দেখে ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত নেয়া পদক্ষেপ আপনাদের জানাবো। ঘটনার জন্য আমি ব্যাক্তিগতভাবে দুঃখিত।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগ করেও আসছিলেন গ্রাহকরা। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ই-ভ্যালির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়কে (আরজেএসসি) পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।