দেশের মোবাইল ফোন বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ অবৈধভাবে আমদানি হওয়ায় বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার—এমন তথ্য দিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওনার্স অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)।
বুধবার রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই তথ্য জানায়। এসময় সংগঠনটির সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, বর্তমানে বাজারে থাকা মোবাইল ফোনের অধিকাংশই অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করছে। এতে সরকার যেমন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় উৎপাদকরা। অথচ দেশে উৎপাদন সরঞ্জামের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, তবুও স্থানীয় নির্মাতারা হ্যান্ডসেটের দাম বাড়াননি। তিনি জানান, সরকারের উদ্যোগে চালু হতে যাওয়া ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট রেজিস্টার (এনইআইআর) সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
জাকারিয়া শহীদ আরও বলেন, এনইআইআর চালু হলে মোবাইল ফোনের দাম এক টাকাও বাড়বে না, বরং সরকারের রাজস্ব আয় হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, কিছু ‘লাগেজ পার্টি’ এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
এমআইওবির সহ-সভাপতি রেদওয়ানুল হক বলেন, দেশে এখন প্রায় সব আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডই মোবাইল উৎপাদন করছে। স্থানীয় কারখানাগুলো দেশের ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে কিন্তু অবৈধ আমদানির কারণে সক্ষমতার মাত্র ৬০ শতাংশ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে।
স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান, আইন মেনে ব্যবসা করা এখন সহজ হয়েছে এবং অনেকে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে দেশের হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, আইফোনের বাজার এখনও সম্পূর্ণ অবৈধ আমদানিনির্ভর।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মোবাইলফোন ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল কপুরিয়া, মোবাইল কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্যামসাং বাংলাদেশ-এর পরিবেশক এক্সেল টেলিকমের সাইফুদ্দিন, এবং ভিভো বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইমাম উদ্দীন।
