
পৃথিবী থেকে প্রথমবারের মতো নেপচুনের ওপর ‘রহস্যময় কালো বিন্দু’ দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই কালো বিন্দু চিহ্নিত করতে ইউরোপের গবেষণা সংস্থা ‘ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি (এসো)’র তৈরি ‘ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ (ভিএলটি)’র সহায়তা নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এর মধ্যে আকারে বিশাল একটি বিন্দু পরীক্ষা করতে গিয়ে জোতির্বিদরা দেখেন, ওই বড় বিন্দুর পাশে আকারে তুলনামূলক ছোট ও উজ্জ্বল আরেকটি বিন্দু দেখা যাচ্ছে। এমন বিন্দু তারা এর আগে কখনোই দেখেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
নেপচুনের নীলচে বায়ুমণ্ডলে কেন এমন বিন্দু তৈরি হল, সে সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই বিজ্ঞানীদের। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই বিষয়ে নতুন পর্যবেক্ষণ এলে তা এর সংশ্লিষ্ট তথ্য পেতে সহায়ক হবে।
এইসব বিন্দু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কিছুটা জটিল। কারণ এগুলোর উৎপত্তির মতোই গ্রহের পৃষ্ঠ ছেড়ে এদের চলে যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। আর এগুলো টেলিস্কোপের মাধ্যমে নির্ণয় করতে হয় বলে গবেষকরাও সহজে এদের পরীক্ষা চালাতে পারছেন না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে এইসব বিন্দু দেখার জন্য নভোযান পাঠাতে বাধ্য হন বিজ্ঞানীরা। আর বিন্দুগুলো প্রথম চিহ্নিত করা হয় ১৯৮৯ সালে, যখন নেপচুন গ্রহের পাশ দিয়ে উড়ে গিয়েছিল নাসার ‘ভয়জার ২’ মহাকাশযান। তবে, এর কয়েক বছর পরই হারিয়ে যায় এটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এইসব বিন্দু পরীক্ষা করতেন বিজ্ঞানীরা। ওই টেলিস্কোপ থেকে নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে তুলনামূলক বেশি বিন্দু দেখা যেত।
নতুন এই অনুসন্ধানে ভিএলটি’র ‘মাল্টি ইউনিট স্পেকট্রোস্কোপিক এক্সপ্লোরার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নেপচুনের বিন্দু পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে, নেপচুন থেকে ওই আলো কীভাবে নির্গত হল ও এর এমন রং কোথা থেকে এল, সেইসব বিষয় পরীক্ষা করা যাবে।