
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন আবারও ইতিহাস গড়েছে। রোববার সকালে এটি নতুন সর্বোচ্চ দামে পৌঁছায়—প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য ২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১,২৫,২৪৫.৫৭ মার্কিন ডলার।
এর আগে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বিটকয়েনের আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১,২৪,৪৮০ মার্কিন ডলার। সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ডিজিটাল এই মুদ্রাটি।
মূল্যবৃদ্ধির পেছনের কারণ: বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক এই উত্থানের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতি, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারী ও এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে (ETF) বিপুল বিনিয়োগ প্রবাহও বিটকয়েনের চাহিদা বাড়িয়েছে।
গত শুক্রবার পর্যন্ত টানা আট দিন ধরে বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি পায়—এটি ২০২৫ সালের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ইতিবাচক ধারাবাহিকতা। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ইতিবাচক ধারা এবং ডলারের দুর্বলতা ক্রিপ্টো মার্কেটকে বাড়তি গতি দিয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন ডলারের মান প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে কয়েক সপ্তাহের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য সরকারি শাটডাউনের আশঙ্কা ও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশে বিলম্ব বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। এতে অনেকেই বিকল্প নিরাপদ সম্পদ—যেমন স্বর্ণ ও বিটকয়েনের দিকে ঝুঁকছেন।
ক্রিপ্টো বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাজারে যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তবে আগামী কয়েক মাসে বিটকয়েনের দাম ১৩০,০০০ ডলার থেকে ১৬০,০০০ ডরার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে তারা সতর্ক করে দিয়েছেন—এই উচ্চতায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাজারে নতুন ভিত্তি তৈরি করা জরুরি। অন্যদিকে, বিটকয়েনের নেটওয়ার্ক হ্যাশরেট সম্প্রতি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, যা এর নিরাপত্তা ও নেটওয়ার্ক শক্তির উন্নতি নির্দেশ করে।
বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই বিটকয়েনের দখলে।