
নাসা জানিয়েছে যে তারা ২০২৬ সালের শুরুতে চাঁদের চারপাশে দশ দিনের যাত্রায় চারজন নভোচারী পাঠাতে চায়। এটি হবে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর প্রথম মানববাহী চন্দ্র মিশন।
অভিযানটির নাম আর্তেমিস-২, যা নাসার আর্তেমিস কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য চাঁদে মানুষ পাঠানো এবং সেখানে দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতি নিশ্চিত করা। তবে আর্তেমিস-২ মিশনে নভোচারীরা চাঁদে অবতরণ করবেন না; তারা নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথের বাইরে গিয়ে সিস্টেম ও প্রযুক্তি পরীক্ষা করবেন, যা পরবর্তী চন্দ্রাভিযানের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে।
প্রথমে এপ্রিল ২০২৬ তারিখ নির্ধারণ করা হলেও সাম্প্রতিক বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসা এখন ফেব্রুয়ারিতেই মিশন পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই অভিযানের ক্রুদের মধ্যে আছেন নাসার নভোচারী রিড ওয়াইজম্যান, ভিক্টর গ্লোভার ও ক্রিস্টিনা কচ এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির নভোচারী জেরেমি হ্যানসেন। ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো ১৭-এর পর এটাই হবে প্রথমবার মানুষ পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে মহাকাশ ভ্রমণে যাবে।
আর্তেমিস-২-এ ব্যবহৃত স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SLS) রকেটটি আগের মতোই দেখতে হলেও এতে নিরাপত্তা, কর্মক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য বড় ধরনের আপগ্রেড করা হয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে উৎক্ষেপিত প্রথম আর্তেমিস মিশনটি ছিল মানববিহীন এবং ২৫ দিনব্যাপী চাঁদের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসে। যদিও সে মিশনে স্পেসক্রাফটের হিটশিল্ডে কিছু সমস্যা ধরা পড়ে, নাসা জানিয়েছে সেগুলো ইতোমধ্যে সমাধান করা হয়েছে।
এই মিশনের সফলতা নির্ধারণ করবে আর্তেমিস-৩ মিশনের সময়সূচি, যেখানে নভোচারীরা চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবেন। নাসার মতে, আর্তেমিস কর্মসূচি ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানব মিশনের জন্য একটি প্রস্তুতিপর্ব এবং দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অনুসন্ধানের ভিত্তি।