বিশ্বে পরিবেশবান্ধব কারখানায় দেশের পোশাক শিল্পের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে লিড গ্রিন কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬টিতে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে আরও তিন পোশাক কারখানা। এ নিয়ে দেশের সবুজ কারখানা বেড়ে হলো ২০৬টি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দেয়।
এর আগে ২০১২ সালে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে প্রথম পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার যাত্রা শুরু দেশে। কারখানাটি পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত ‘ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও।’ এরপর থেকে বাড়তে থাকে সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গাজীপুরস্থ এস. এম. সোর্সিং পোশাক কারখানাটি ১০৬ স্কোর করেছে। এ স্কোর ইউএসজিবিসি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ। এর অর্থ হলো, এস এম সোর্সিং পোশাক কারখানাটি গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেড (ইউনিট ৪) রেকর্ডও (স্কোর ১০৪) ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল স্বীকৃতি। লিড প্রত্যয়িত দ্বিতীয় কারখানা নাইস কটন লিমিটেড ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে। এই দুটি কারখানাই লিড প্লাটিনাম রেটেড কারখানার সংখ্যায় যুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ২০৬টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড রেটেড কারখানা। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৫৪টি রয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২১টি লিড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ১৯টি বাংলাদেশে।
বিজিএমইএ-বিকেএমইএ নেতারা জানান, সবুজ কারখানা মানে বিশ্ব বাজারে ক্রেতার কাছে আলাদা কদর তৈরি হওয়া। এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গায়ে গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ পণ্যটি কোন সবুজ কারখানায় উৎপাদিত হওয়ায় বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার কাছে আস্থা বাড়ে। সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিও করা যায়। সবুজ কারখানার সনদ দেশ ও পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে সহায়তা করে।
