ঢাকা     ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  ১৪ চৈত্র ১৪৩০

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

নগদ’র ৫০০ কোটি টাকার বন্ডে মার্কিন কোম্পানির বিনিয়োগের আগ্রহ

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ২৭ জুলাই ২০২১

নগদ’র ৫০০ কোটি টাকার বন্ডে মার্কিন কোম্পানির বিনিয়োগের আগ্রহ

ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণার পর থেকে ‘নগদ’-এর বন্ডে বিনিয়োগ করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে কিউ গ্লোবাল লিমিটেড নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিজিটাল কোম্পানি এ বন্ডে ৩০ মিলিয়ন সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড বন্ডটির অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে। একইসঙ্গে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড এটির ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে চলা ‘নগদ’ সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিএসইসি আয়োজিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট এক রোড শোতে এ ঘোষণা দেয়। ‘নগদ’ এ রোড শোর অন্যতম অংশীদার।

বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ‘নগদ’ তাদের ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও প্রচারের কাজে খরচ করবে।

দুই বছরের মধ্যে বাজারে সাড়া ফেলা ডিএফএস অপারেটর ‘নগদ’ ইতোমধ্যে বন্ডের বিষয়ে বিএসইসি-এর কাছে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। পাঁচ বছরের মেয়াদান্তে যার ফেস ভ্যালু হবে ৭৫০ কোটি টাকা। দেশের যেকোনো মোবাইল বা ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির জন্য বন্ড ছাড়ার ঘটনা এটিই প্রথম।

এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কো-ফাউন্ডার তানভীর এ মিশুক বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডের বাজারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা বন্ডকে আরও একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করছি। তাছাড়া ‘নগদ’ সবসময়ই উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে এবং সে কারণেই আমরা প্রথাগত অর্থায়নের চেয়ে বন্ডের বাজারকে বেশি পছন্দ করছি।

তানভীর এ মিশুক আরো বলেন, একটি দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি হিসেবে মাত্র দুই বছরের মধ্যে ‘নগদ’ ৫ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে, যা বড় একটি অর্জন। অগ্রগতির এই ধারা ধরে রাখতে, নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম এবং অবকাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়নে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিনিয়োগ সেটিকে আরও অগ্রগতি দেবে এবং আরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, বিশেষত ঋণ বাজারের উন্নয়নে কাজ করছে বিএসইসি, যা আমাদের শিল্প ও অবকাঠামোর দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনে অর্থায়নের জন্য অত্যাবশ্যক। আশা করি ‘নগদ’-এর বন্ড বাজারে আসা আমাদের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংস্থা এবং অন্যান্য কোম্পানিকে উৎসাহিত করবে। একইসঙ্গে এটি অনুকূল অর্থায়ন কৌশল তৈরি করবে, যা কোম্পানিগুলোর অগ্রযাত্রা ও টেকসই উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে। ‘নগদ’-এর বন্ড ইস্যু করার উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং মূলধন বাজারের জন্য সঠিক দিক-নির্দেশনা।

বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসইসি বিনিয়োগ বিষয়ক এই রোড শো'র আয়োজন করেছে, যেখানে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও খ্যাতিমান ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা অংশ নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহর– নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং সিলিকন ভ্যালিতে (স্যান্টা ক্লারা) আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত চারটি রোড শো অনুষ্ঠিত হবে।