ঢাকা     ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

কেন্দ্রীয় ব্যাংকর কড়াকড়ি, উল্টো পথে হাঁটছে ডলার

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:০০, ১৮ আগস্ট ২০২২

কেন্দ্রীয় ব্যাংকর কড়াকড়ি, উল্টো পথে হাঁটছে ডলার

রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকর নানা শর্তে আমদানি কমায় বাজারে বেড়েছে ডলারের সরবরাহ। এতে টাকার মান বাড়ায় উল্টো পথে হাঁটছে মার্কিন ডলারের দাম।

গত সপ্তাহে খোলা বাজারে প্রতি ডলার যেখানে ১১৯ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল, চলতি সপ্তাহের বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই ডলার নেমে এসেছে ১১০ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম কমেছে ৯ টাকা।

দেশে ডলারের সংকট কাটাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক পণ্য আমদানিতে বেশ কিছু শর্ত দেয়। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে দেয়া হয় নীতিগত ছাড়। এছাড়া ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ডলার কারসাজিকারীদের ধরতে চালাচ্ছে অভিযান। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে।

অন্যদিকে বাজারে আরও স্থিতিশীলতা আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার মানি চেঞ্জারগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ দেড় টাকা মুনাফার সীমা ঠিক করে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা বৈঠক করে। সেখানে বলা হয় ব্যাংকগুলো ডলার কেনা-বেচায় কত টাকা মুনাফা করবে তা তারা নিজেরাই ঠিক করবে। তবে বেচাকেনার মধ্যে পার্থক্য যেন এক টাকার বেশি না হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, জুলাই মাসে দেশে মোট ৫৫৫ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা জুন মাসের তুলনায় ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ কম। জুন মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের। তবে জুন মাসে অবশ্য মে মাসের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র ৭ শতাংশ বেশি খোলা হয়েছিল। মে মাসে ঋণপত্র খোলা হয় ৭৪৪ কোটি ডলারের।

১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯৫৪ কোটি (৩৯ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন) ডলারে। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে এ মজুত দিয়ে প্রায় ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এদিকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দাম বা‌ড়ি‌য়ে‌ বি‌ক্রি করার প্রমাণ পাওয়ায় গত ৮ আগস্ট দে‌শি-বি‌দে‌শি ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভা‌গের প্রধানকে অপসারণ কর‌তে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সি‌টি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংক এবং বিদেশি খা‌তের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

এছাড়া ডলারের কারসা‌জি রো‌ধে খোলা বাজার ও এক্স‌চেঞ্জ হাউজগু‌লো‌তে ধারাবা‌হিক অ‌ভিযান পরিচালনা ক‌রছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কারসা‌জির অপরা‌ধে মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করাসহ বেশকিছু প্র‌তিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নি‌তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হ‌য়েছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ডলারের খোলা বাজারে।