ঢাকা     ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

তিন সিকিউরিটিজের গ্রাহকরা পেলেন পৌনে ৫ কোটি টাকা

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৫ জুলাই ২০২২

তিন সিকিউরিটিজের গ্রাহকরা পেলেন পৌনে ৫ কোটি টাকা

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রোকারেজ হাউজ তামহা, বাংকো ও ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ৪৩১ জন গ্রাহক এ টাকা পেলেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, যেসব বিনিয়োগকারী গত ১৫ মে তারিখের মধ্যে ডিএসইতে অভিযোগ দাখিল করেছেন তাদের নিজ নিজ বিও হিসাবে উল্লেখিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আনুপাতিক হারে প্রাপ্য অর্থ (যাচাই বাছাই পূর্বক) প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ এরই অংশ হিসেবে গত ২৯ জুন ২০২২ তারিখ হতে এখন পর্যন্ত ৪৩১ বিনিয়োগকারীকে ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল বিনিয়োগকারীদের পাওনা পরিশোধ করা হলে বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তামহা সিকিউরিটিজের বিওধারী বিনিয়োগকারীরা এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর ৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া এই সিকিউরিটিজের মালিক ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের সব শেয়ার বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা। বিএসইসি ওই সিকিউরিটিজের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে দেয়ার পর সিডিবিএলে যোগাযোগ করে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন তাদের হিসাবে কোনো শেয়ার নেই।

তামহা কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক বিনিয়োগকারীর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য বিনিয়োগকারীদের ফোনে এসএমএস ও মেইল পাঠাতো। এ কারণে তারা জালিয়াতি বুঝতে পারেনি। হাউজটি ১৩৯ কোটি টাকা ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে বলে বিএসইসির এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে ওঠে আসে। অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে গত ২৮ নভেম্বর ব্রোকারেজ হাউসটির শেয়ার কেনাবেচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ডিএসই।

এদিকে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে গত বছর বাংকো সিকিউরিটিজের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়া হয়। বিএসইসির তদন্ত অনুযায়ী, এ ব্রোকারেজ হাউসের মালিকপক্ষ গ্রাহকদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। আর ২০২০ সালের জুনে ডিএসইর এক তদন্তে উঠে আসে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিকপক্ষ গ্রাহকের ৮০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাত করেছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির এমডি শহিদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।