ঢাকা     ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

রেমিট্যান্স কমলেও রপ্তানি আয়ে রেকর্ড

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ৩ জুলাই ২০২২

আপডেট: ২১:০৭, ৬ জুলাই ২০২২

রেমিট্যান্স কমলেও রপ্তানি আয়ে রেকর্ড

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে সৃষ্টি হওয়া বিশ্বমন্দায়ও রপ্তানি আয়ে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) পণ্য রপ্তানি করে উদ্যোক্তারা আয় করেছেন ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার বা ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি। এ আয় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড করলেও সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। যা গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ কম।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবির) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। ইপিবির তথ্য মতে, জুন মাসে রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ৪৯০ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের জুন মাসে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৩৫৭ কোটি ডলার। ওই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬৩ কোটি ডলার। ইপিবির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জুন মাসে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে গত বছরে একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়া তৈরি পোশাক খাতে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ, হস্তশিল্পে ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ ও প্লাস্টিক পণ্য থেকে এসেছে ৪৪ দশমিক ২১ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সবশেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ১৮৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ৯৩.৪৫ টাকা ধরে) যা ১৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বেশি। সদ্যবিদায়ী (২০২১-২২) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসে ১৮৭ কোটি ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ডলার, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ডলার, নভেম্বরে ১৫৩ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ১৬৩ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ডলার, মার্চে ১৮৬ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২০১ কোটি ডলার এবং মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ (১.৮৮ বিলিয়ন) ডলার।

২০২১-২২ অর্থবছরের একক মাস হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে এপ্রিলে। যার পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার।

বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম রেমিট্যান্সে সরকারি প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে থেকে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠানোর শর্তও শিথিল করা হয়েছে। এর আগে ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠালে তার বিপরীতে প্রণোদনা পেতে হলে আয়ের উৎস দেখাতে হতো। এখন সে শর্তও শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।