
প্রশাসনে অসন্তোষ কমাতে আগামী জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেয়ার ঘোষণা আসতে পারে। এজন্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলে জানা গেছে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতার ঘোষণা আসতে পারে। এই ভাতার চূড়ান্ত হার নির্ধারণে ২০ মে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন অর্থবছরের বাজেটে এই ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করতে অর্থ বিভাগের ভেতরে কাজ চলছে, যেখানে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে।
গত সরকারের সময় চালু হওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা ভাতা বাতিল করে তার পরিবর্তে এই মহার্ঘভাতা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি চালু হলে চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পেলে এই মহার্ঘভাতার সিদ্ধান্ত বাজেট বক্তৃতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী, ১ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং বাকিসব গ্রেডের জন্য ২০ শতাংশ হারে ভাতা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে।
গত সরকারের পতনের পর—সরকারি কর্মচারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে—গত ডিসেম্বরে একটি কমিটি গঠিত হয়। সেখানে ১০ থেকে ২০ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২০ শতাংশ এবং ১ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার প্রস্তাব আসে।
সাধারণত সরকার প্রতি পাঁচ বছর পর পর একটি নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করে। তবে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে কার্যকর হওয়া অষ্টম বেতন কাঠামোয় বলা হয়, ভবিষ্যতে আর আলাদা কাঠামো ঘোষণা করা হবে না। বরং প্রতি বছরের জুলাই মাসে সব সরকারি কর্মচারীর জন্য ৫ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি বলা হয়, কোনও অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে সেই হার অনুযায়ী বেতন বাড়ানো হবে।