
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমদানি ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এলএনজি আমদানি, সার ক্রয়, বিদ্যুৎ প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মঙ্গলবার অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মূল অনুমোদনসমূহ:
এলএনজি আমদানি (৩ কার্গো) – মোট ব্যয়: ১,৬২০.৫ কোটি টাকা
স্পট মার্কেট থেকে তিনটি এলএনজি কার্গো আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে:
আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড: ৫৩৪.৭৬ কোটি টাকা
মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড: ৫৪০.৫১ কোটি টাকা
মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড: ৫৪৪.৭৭ কোটি টাকা
সার আমদানি
সৌদি আরবের মাদেন (ডিএপি সার): ৪০ হাজার টন, ব্যয় ৩৩৩.৭৯ কোটি টাকা (প্রতি টন ৬৮৪ ডলার)
রাশিয়ার জেএসসি (এমওপি সার)**: ৩০ হাজার টন, ব্যয় ১১৮.২১ কোটি টাকা (প্রতি টন ৩২৩ ডলার)
মাতারবাড়ী ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- লেভেলাইজড ট্যারিফ: ৮.৪৫ টাকা/কিলোওয়াট
- কয়লার দাম: ৫.৮৪ টাকা
- ক্যাপাসিটি চার্জ: ২.৬০ টাকা
- বছরে বিদ্যুৎ ক্রয় ব্যয়: ৭,২৩৩.৪৮ কোটি টাকা
- ৩০ বছরে ব্যয়: ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা
জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প (সি সাইড)
- পূর্ত কাজের ব্যয়: ৭৫.৫৭ কোটি টাকা
- বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান: ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (NDE)
ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (প্রথম সংশোধিত প্রকল্প)
- ১০ তলা ভবন নির্মাণে ব্যয়: ১৬১.৯০ কোটি টাকা
এই প্রকল্পগুলো সরকারের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি নিরাপত্তা ও কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।