
দেশের পুঁজিবাজারের অস্থিরতা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। শুধু এপ্রিল মাসেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন হারিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
তথ্যমতে, ঈদের পর গত ৬ এপ্রিল লেনদেনের শুরুতে বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আর এপ্রিলের শেষ কার্যদিবস ৩০ এপ্রিলের লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
ডিএসই সূত্রে, বিদায়ী মাসে মোট ১৮ কার্যদিবস বাজারে লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ কার্যদিবসেই হয়েছে পতন। পতনের ধাক্কায় বাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের তথ্যমতে, এক মাসে ১১ হাজার ৪২৯ জন বিনিয়োগকারী নিজেদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন। বাজারে জিরো ব্যালেন্সের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এভাবে বাজারে পতন হতে থাকলে দেশের পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। বাজারের ওপর থেকে আস্থা উঠে যাওয়ায় কোনোভাবেই বাজার ঠিক করা যাচ্ছে না।
গত মাসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার ২১৯ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন মাস শেষে এসে ঠেকেছে ৪ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে। শুধু প্রধান সূচক নয়, মাসিক লেনদেনে বেহাল দশা শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএসেও। পুরো মাসে এ খাতের সূচক কমেছে ৭৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে, বাছাই করা ভালো কোম্পানির শেয়ারেও হয়েছে বড় পতন। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯২ পয়েন্ট।