ঢাকা     ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ডলার সংকটে আরো কমলো রিজার্ভ

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২১ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ২১:৩৫, ২৩ নভেম্বর ২০২২

ডলার সংকটে আরো কমলো রিজার্ভ

ডলার সংকটের কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো কমছে। এতে চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার দেশের রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

চলমান সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি নভেম্বরের শুরুতে ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকলেও এখন তা কমে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এ রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করে দেশের রিজার্ভ থেকে আরো ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে দেশের রিজার্ভ হবে ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে রেমিট্যান্স আসার গতিও স্লোথ হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৬ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ নভেম্বর কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এরপর ৭ নভেম্বর রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে প্রায় ৩৪ দশমিক ২৮ বিলিয়নের নেমে আসে।

গত ৯ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন, ১৪ নভেম্বর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে, ১৫ নভেম্বর রিজার্ভ থেকে ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় তা নেমে আসে ৩৪ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। ১৬ নভেম্বর ৬৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে, ১৭ নভেম্বর আবারও বেড়ে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়। পরে তা কমে সোমবার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। এখান থেকে সরকারি ক্রয়ে ডলার ছাড় করা হয়। আবার প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বলা যায় প্রতিদিনই রিজার্ভ কম-বেশি হয়। তবে আমাদের যে রিজার্ভ পজিশন সেটিতে ভয়ের কিছু নেই।

অন্যদিকে, নভেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে প্রায় ১০৬ কোটি (১০৫ কোটি ৯৯ লাখ) ডলার বা ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি নভেম্বরের পুরো সময়ে ১৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।