
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আবার চালু হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনলাইন টিকেটিং সেবা। রোববার থেকে একই সঙ্গে অনলাইন চেকিং, বুকিং, ওয়েব সার্ভিসের মতো অন্যান্য সেবাও চালুর কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সটি।
এদিন সকাল থেকে বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট (www.biman-airlines.com) থেকে টিকেট কেনা যাচ্ছে। বিমান বাংলাদেশের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছরের ১০ অগাস্ট থেকে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটির ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অনলাইনের এ যুগে কোনও এয়ারলাইন্সের অনলাইন টিকেটিং সেবা না থাকার ঘটনা তখন অনেকটা বিরল বলেই মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন চালু হওয়ায় বিমানের টিকিটিং ব্যয় কমেছে। একই সঙ্গে যাত্রীরা অনলাইনে আরও বেশি বিমানের সেবা গ্রহণ, পরিবর্তন, রিফান্ডের সুযোগ পাবেন।
জানা গেছে, এখনও যাত্রীরা টিকিটে যেমন বুকিং করতে পারবেন, পাশাপাশি কোন সিটে বসতে চান সেটিও নির্ধারণ করতে পারবেন। টিকিট কাটতে ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করা যাবে।
ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে টিকিট বিক্রয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০১৯ সালে ট্রাভেল শপ নামের এক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয় বিমান। আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোবাইল অ্যাপলিকেশন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গত ১০ আগস্ট থেকে অনলাইন প্লাটফর্মে বন্ধ ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি। বিমান সার্ভারের ভাড়া পরিশোধ করছে না, অভিযোগ তুলে সেবা বন্ধ করে দেয় ট্রাভেল শপ।
তবে ট্রাভেল শপের অদক্ষতাকে দায়ী করে চুক্তি বাতিল করে বিমান। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোবাইল অ্যাপসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টিকিটিং ছাড়াও নতুন প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (পিএসএস) চালু করতে দায়িত্ব দেয় ‘সেবর করপোরেশন’কে।