ঢাকা     ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

চাল-ডালসহ নয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ৩১ আগস্ট ২০২২

চাল-ডালসহ নয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার। কেউ নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্য নিলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পণ্য নয়টি হলো চাল, গম (আটা ও ময়দা), ভোজ্যতেল (সয়াবিন ও পাম অয়েল), পরিশোধিত চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, এমএস পণ্য (রড) ও সিমেন্ট।

টিপু মুনশি বলেন, সাধারণত আমাদের ট্যারিফ কমিশন ভোজ্যতেলের দাম টাইম টু টাইম বসে ঠিক করে। কখনো বাড়ানোর দরকার হলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে বাড়ায়। আবার যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, বাংলাদেশেও সেটা কমিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি, বর্তমানে বিভিন্ন আইটেমের (পণ্য) দাম বেড়েছে, যেটা গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও সব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখার কথা ছিল, এমনটাও নয়। এখানে কৃষিপণ্যের ব্যাপার রয়েছে, চাল রয়েছে, যেটা খাদ্য মন্ত্রণালয় বা কৃষি মন্ত্রণালয় দেখবে। তারপর ডিমের কথা আসছে। মাঝখানে ডিমের দাম বেড়েছে। এ পণ্যটির কথা কোনোদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনায় আনেনি বা আমাদের দেখার ব্যাপারও ছিল না। তার পরও প্রশ্ন আসার পর আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। দরকার হলে ডিম আমদানি করব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, কীভাবে পণ্যগুলোর দাম কমানো যায় বা যথার্থ করা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবের কারণে অনেক সময় হয়তো আমরা কমাতে পারব না। তবে যেটা হওয়া উচিত তার থেকে বেশি দামে যেন ভোক্তাদের কিনতে না হয়, তার জন্য আলোচনা করে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

পণ্যের দাম যতটুকু বাড়া উচিত, তার চেয়েও বেশি বাড়ানো হয়েছে অভিযোগ মন্ত্রী বলেন, চালের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সরকার সেটা কমিয়েছে; যাতে আমদানিতে ৮ টাকার মতো খরচ কম পড়বে। আবার কোনো কোনো পণ্যে আমরাও মনে করি দাম বাড়া উচিত, কিন্তু ব্যবসায়ীরা তার থেকেও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর জন্যই সিদ্ধান্ত হয়েছে—এখন থেকে এসব পণ্যের দাম যেটা হওয়া উচিত, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে ট্যারিফ কমিশন তা ঠিক করবে। বাজারে সে দামেই পণ্যগুলো বিক্রি করতে হবে। এর থেকে বেশি যদি কেউ নেন, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাই শুধু নয়, আমরা ঠিক করেছি সোজাসুজি মামলায় চলে যাব।

মন্ত্রী বলেন, আইনে আছে তিন বছরের জেল বা কোথাও কোথাও তার থেকে বেশি জরিমানাও আছে। সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। বলে দেয়া হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে আইটেমগুলো ক্যালকুলেশন করে বাজারে ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) করে দেয়া হবে।