
শিশু-কিশোরদের রোবোটিক্স ও এস্টিম (STEM) শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করতে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রোবটিক্স প্রতিযোগিতা “ক্রিয়েটিভ জুনিয়র্স প্রেজেন্টস রোবো কিকার্স – ন্যাশনাল সকার বট চ্যাম্পিয়নশিপ ফর কিডস”। স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির যৌথ আয়োজনে শনিবার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মাল্টিপারপাস হলে প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনে দেশের ৩০টিরও বেশি স্কুল থেকে প্রায় ৫০টির অধিক টিম অংশ নেয়। ৬–১০ বছর এবং ১১–১৩ বছর—দুটি ক্যাটাগরিতে নক-আউট ফরম্যাটে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি টিম নিজস্ব সকার বট তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, যা শিশুদের হাতে-কলমে রোবোটিক্স শেখার সুযোগ করে দেয়।
বিজয়ীদের তালিকা:
৬–১০ বছর ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে আগা খান একাডেমির টীম স্ট্রলার স্ট্রাইকার (সদস্য: আহমেদ আইদান আবদুল্লাহ, আহমেদ আলি আব্দুল্লাহ)। রানার্স আপ হয়েছে টীম স্পিডি সার্কি (সদস্য: আফরাজ রাহগির) এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টীম টেক টাইটান (সদস্য: ইরউইন তানিম)।
১১–১৩ বছর ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকার টীম রোবট রানার (সদস্য: জারিফ মাহমুদ)। রানার্স আপ হয়েছে সাউথ ব্রিজ স্কুলের টীম রোবো কিউব (সদস্য: মিনাল মাহিত চৌধুরী)। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টীম নিউরাল নেটওয়ার্ক—আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরশান আরুশ এবং অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রিশান আহমেদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোবো কিকার্স শুধুই প্রতিযোগিতা নয়, বরং হাতে-কলমে শেখার মাধ্যমে শিশু-কিশোররা প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও দলগত কাজের মূল্যবোধ শিখছে। এ ধরনের আয়োজন তাদের আগামী দিনের বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলবে।
স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিয়েটিভ বিজনেস গ্রুপের চেয়ারম্যান মনির হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা সুযোগ পেলে আন্তর্জাতিক মানের উদ্ভাবক হয়ে উঠতে পারে। আমরা সবসময় এ ধরণের শিক্ষা-উদ্যোগের পাশে আছি।
স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন, রোবো কিকার্স শিশুদের জন্য নতুন এক দিগন্ত। এখানে তারা খেলতে খেলতে প্রযুক্তি শিখছে, সৃজনশীলতা আবিষ্কার করছে এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করতে শিখছে। আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী প্রজন্মকে উদ্ভাবনী চিন্তায় অনুপ্রাণিত করা। এজন্য আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে শিশুদের কাছে পৌঁছে তাদের স্বপ্ন দেখাতে এবং সেই স্বপ্ন পূরণের শক্তি জোগাতে কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়।