
রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্ম পাঠাও এবার নিয়ে এসেছে ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা ‘পাঠাও পে’। এই নতুন ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ট্রানজেক্ট, অ্যাকসেস এবং ম্যানেজ করতে পারবেন গ্রাহক। আজ (৮ জুলাই) থেকে সারাদেশে সেবাটি চালু হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করা, রাইড নেয়া, বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগ করা বা কাউকে টাকা পাঠানো সবকিছুই করা যাবে একদম সহজে। সাথে আছে কিছু মজার ফিচারও, যেমন Pay Tag দিয়ে পার্সোনাল ইনফর্মেশন শেয়ার না করেও সহজে টাকা রিসিভ করা বা অনেকের কাছ থেকে একসাথে টাকা তোলা, Split Pay দিয়ে বন্ধুদের সাথে বিল ভাগাভাগি করা, Group Send Money দিয়ে একসঙ্গে অনেকজনকে টাকা পাঠানো, এবং Auto-Pay দিয়ে অটোমেটেড পেমেন্ট সিস্টেম।
ইউজাররা এখন মোবাইল রিচার্জও করতে পারবেন এই সেবা থেকেই। আর খুব সহজেই পাঠাও পে-তে অ্যাড মানি করা যাবে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড (Visa, Mastercard, AMEX) বা নগদ থেকে।
কার্ডটি পাওয়া যাবে তিনটি ইউনিক ডিজাইনে, Starlit Horizon, Purple Haze, এবং Sunshine Beach। এই কার্ডে থাকছে, রিয়েল-টাইম ওয়ালেট ব্যালেন্স সিঙ্কিং, ডুয়াল কারেন্সি সাপোর্ট, NFC Tap & Pay (পিন ছাড়াই ৫০০০ টাকা পর্যন্ত), এবং MTB-এর সব এটিএম থেকে বিনামূল্যে টাকা তোলার সুযোগ। Mastercard-এর গ্লোবাল রিচ, রোবাস্ট সিকিউরিটি সুবিধার মাধ্যমে সঠিকভাবে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট করা থাকলেই এই কার্ড দিয়ে খুব সহজেই দেশে-বিদেশে শপিং, সাবস্ক্রিপশন, ট্রাভেলসহ সব ধরণের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট করা যাবে।
লঞ্চ উপলক্ষে নতুন পাঠাও পে ইউজাররা পাচ্ছেন পাঠাও-এর কোর সার্ভিসগুলোতে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক! প্রতি সার্ভিস অনুযায়ী ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন পাঠাও ফুড-এ সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা, পাঠাও কার রাইডে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা, পাঠাও বাইক-এ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা এবং পার্সেল ডেলিভারিতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা।
পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেছেন, পাঠাও পে হলো ডিজিটালি নিজস্ব ফাইন্যন্স নিয়ন্ত্রণের একটি অন্যতম সহজ উপায়। পাঠাও পে-এর মাধ্যমে আপনার ফান্ড যখন যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই অ্যাকসেস, ট্রানজেক্ট ও ম্যানেজ করতে পারবেন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ডিজিটাল ফাইন্যান্স সল্যুশন, যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে ।