ঢাকা     ১৬ মার্চ ২০২৫ ||  ২ চৈত্র ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

কিউকমের চেয়ারম্যান-সিইওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিজটেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ৬ মার্চ ২০২৫

কিউকমের চেয়ারম্যান-সিইওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম।

সাকিবুল ইসলাম বলেন,  ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণা করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। ওইদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ২৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যতা মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। ওইদিন পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, আজকে আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য দিন ধার্য থাকলেও তারা উপস্থিত হননি। এজন্য বিজ্ঞ আদালতে সন্তুষ্ট হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান কিউকম.কম নামে ওয়েব সাইডের মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করতেন। ২০২১ সালের ২৭ জুন কিউকম ডট কমের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বাদী আকৃষ্ট হয়ে আসামিদের প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বিগ বিলিয়ন রিটার্ন’ ক্যাম্পেইনে মালামাল ক্রয় করার জন্য ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ১৬০ টাকার মধ্যে ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকা বাদীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের (থ্রি-এস কর্পোরেশন বিডি) নামে এসআইবিএল ব্যাংকের একটি চেকের মাধ্যমে আসামিদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব বরাবর জমা দেন। অবশিষ্ট ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৬০ আসামিদের ইস্টার্ন ব্যাংকের গুলশান শাখার জমা দেন। উল্লিখিত পণ্য ক্রয় বাবদ ৮২ লাখ ৪৪ হাজার ১৬০ টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি আসামিদের প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। আসামিদের অফিস থেকেই অর্ডারের বিপরীতে অর্থ প্রাপ্তী স্বীকার মর্মে মানি রিসিট দেয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদীর ক্রয়কৃত মালামাল ২১ থেকে ২৫ কার্য দিবসের মধ্যে দেওয়ার করার কথা থাকলেও আসামিরা যথাসময়ে দিতে ব্যর্থ হয়। গত বছরের ২১ মার্চ বাদীকে মালামালের বিপরীতে চেক দিবেন বলে আসামিদের অফিসে যেতে অনুরোধ করেন। ওইদিন তাদের অফিসে যাওয়া পর আসামি রিপন মিয়া এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জন ব্যক্তি বাদীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে পাওনা টাকা দেবে না মর্মে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। ওই ঘটনায় গত বছরের ১৩ আগস্ট মেহেদী হাসান ফয়সাল বাদী মামলাটি দায়ের করেন।