ঢাকা     ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  ১৪ চৈত্র ১৪৩০

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

৮৪ বিলিয়ন ডলার খুইয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট হারালেন আদানি

বিজটেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

৮৪ বিলিয়ন ডলার খুইয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট হারালেন আদানি

যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের পরই পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর। মাত্র কয়েকদিনে আদানি গ্রুপের বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এর ফলে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট হারালেন গৌতম আদানি।

বাজার মূলধন হারানোর পর ফোর্বসের বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় ১৫তম স্থানে নেমে এসেছেন গৌতম আদানি। বর্তমানে তার সম্পদমূল্য ৭৬.৮ বিলিয়ন। এটা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এবং অপর ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির চেয়ে কম। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পদমূল্য ৮৩.৬ বিলিয়ন ডলার। অথচ, গত সপ্তাহে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের আগে গৌতমই ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী।  

গৌতম আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য বিশাল। এয়ারপোর্ট, সমুদ্রবন্দর, খনি, সিমেন্ট উৎপাদন, অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে বহুখাতে যা ছড়িয়ে। কিন্তু, এই মুহূর্তে নাটকীয় বিপর্যয়ে রয়েছে তার ব্যবসা। নিজ প্রতিষ্ঠানগুলো ও সুনাম বাঁচাতে লড়তে হচ্ছে তাকে।  

এ লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই আদানি গ্রুপের প্রধানতম প্রতিষ্ঠান আদানি এন্টারপ্রাইজের ২৫০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করা হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনও ছিল। এই ঘটনাকে আদানি গ্রুপের প্রতি তাদের আস্থার প্রমাণ হিসেবে মনে করেন অনেকেই।

তবে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ বেশ গুরুতর। তারা শেয়ারমূল্যে কারসাজি, বিশাল অঙ্কের দেনা আর হিসাবরক্ষণের জালিয়াতির কথা জানিয়েছে আদানি গ্রুপে। তাদের মতে, অফশোর কর স্বর্গগুলো ব্যবহার করে শেয়ারমূল্যে এসব কারসাজি করা হয়। উচ্চ দেনা থাকায় আদানি গ্রুপের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা নিয়েও এতে গভীর সংশয় প্রকাশ করা হয়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই আদানি গ্রুপের সাতটি কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেশ কম হওয়া উচিত বলে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনটি ইঙ্গিত দেয়।

আদানি শিল্পগোষ্ঠী এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ভারতীয় আইন সম্পর্কে শর্ট সেলারটির অজ্ঞতাই তাদের এমন 'ভিত্তিহীন' অভিযোগের পেছনে কাজ করেছে। অন্যদিকে, আদানি গ্রুপ সব সময় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের বিধিমালা মেনেই আর্থিক তথ্য ঘোষণা করে আসছে।  

এসব ব্যাখ্যায় অবশ্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরেনি। এমনকী আদানি গ্রুপের মূল প্রতিষ্ঠান আদানি এন্টারপ্রাইজের বাজারমূল্য বুধবার ৩০ শতাংশ পতন হয়েছে। আদানি পাওয়ার এবং আদানি টোটাল গ্যাস তাদের দৈনিক মূল্যসীমার ৫ ও ১০ শতাংশ হারিয়েছে।

আদানি ট্রান্সমিশনের বাজারদর কমেছে ৬ শতাংশ, আদানি পোর্ট ও স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ক্ষেত্রে তা হয়েছে ২০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বাজারমূল্য পতন হয়েছে ফ্রান্সের সাথে যৌথ উদ্যোগের আদানি টোটাল গ্যাসের বাজারমূল্যে। কোম্পানিটির প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার পতন হয়েছে।