ঢাকা     ০৭ মে ২০২৪ ||  ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

নগদের কার্যক্রম কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ২ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ২০:১৯, ৩ নভেম্বর ২০২২

নগদের কার্যক্রম কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে মোবাইল ফ্যাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।

এর আগে ২৭ অক্টোবর অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হাসানুজ্জামান ও মো. আবু বকর সিদ্দিক রিটটি দায়ের করেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী বলেন, নগদ তাদের ব্যবসা পরিচালনার শুরু থেকেই বলে আসছে, তারা ডাক বিভাগের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নগদের রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টোক কোম্পানিজের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কোনো শেয়ার নগদের নেই।

২০১৯ সাল থেকে মোবাইল ফ্যাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে নগদ। ২০১৮ সালের এমএফএস রেগুলেশন অনুযায়ী এমএফএস লাইসেন্স পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলো আবেদন করতে পারবে। এরপরে ২০২২ সালে ২০১৮ সালের এমএফএস রেগুলেশনকে বিলুপ্ত করে নতুন রেগুলেশন করা হয়। সে অনুযায়ী যেকোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এমএফএস লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদকে একটি সাময়িক এমএফএস লাইসেন্স প্রদান করে। যা ২০১৮ এবং ২০২২ সালের এমএফএস রেগুলেশন অনুযায়ী আইনসিদ্ধ নয়। এ কারণে অস্থায়ী লাইসেন্স নিয়ে নগদের মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।

এ বিষয়ে নগদ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন নতুন সেবা উদ্ভাবন এবং ব্যবসায়ীক কৌশলে নগদ-এর সঙ্গে পেরে না উঠে একটি স্বার্থান্বেশী মহল নানান কৌশলে একের পর এক নগদ-এর নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই রিট সেই কুটকৌশলেরই অংশ। আমরা অবশ্যই মাননীয় আদালতের জবাব দেবো। একই সঙ্গে নগদ নিশ্চিত করে বলছে যে, ডাক বিভাগের সাথে নগদ-এর পরিষ্কার চুক্তি আছে। যে চুক্তির সুবাদে প্রতি বছর নগদ তার রেভিউ থেকে ৫১ শতাংশ নিয়মিত ভিত্তিতে ডাক বিভাগকে দিয়ে আসছে। ঘটনাচক্রে আজই (২ নভেম্বর) ডাক ভবনে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের কাছে ২০২১-২২ অর্থ বছরের রেভিনিউয়ের ৫১ শতাংশ, সাড়ে চার কোটি টাকা হস্তান্তর হচ্ছে। এ বিষয়ে পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানও রয়েছে। এর আগের অর্থ বছরে নগদ ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং তার আগের অর্থ বছরে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা ডাক বিভাগকে রেভিনিউ শেয়ার করা হয়েছে। প্রতিবারই ডাক বিভাগের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রী-সচিব নগদ-এর রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের অংশ গ্রহন করেছেন। এটা প্রমাণ করে যে, ডাক বিভাগ ও নগদ-এর মধ্যে পরিষ্কার সম্পর্ক বিদ্যমান।