ঢাকা     ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বাড়াতে ১০ মিলিয়ন ডলার দেবে আইসিটি বিভাগ

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ৪ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ২২:৩০, ৪ আগস্ট ২০২২

পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বাড়াতে ১০ মিলিয়ন ডলার দেবে আইসিটি বিভাগ

সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) আইসিটি বিভাগ ১০ মিলিয়ন ডলার দেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিএসইসিকে বিশ্ব পুঁজিবাজারের নেতৃত্বে আনতে এ প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসইর ভবনে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সম্ভাবনা ও সুযোগ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএসই।

প্রধান অতিথির প্রতিমন্ত্রী জানান, স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন, যা ২০২৫ সালের মধ্যেই সরকার বিনিয়োগ করবে। পলক বলেন, সিলিকন ভ্যালি থেকে শুরু করে ভারতের স্টার্টআপ নিয়ে আমরা স্টাডি করেছি। এর মধ্যে বিশ্বে মাত্র ১০ শতাংশ স্টার্টআপ সফল হয়। বাকি ৯০ শতাংশ ব্যর্থ হয়। কিন্তু ১০ শতাংশ সফল স্টার্টআপের রিটার্ন ৯০ শতাংশ ব্যর্থ স্টার্টআপকে ছাড়িয়ে যায়। আমাদের সামনে পাঠাও, বিকাশ, চালডাল, শপআপ এর উদাহরণ রয়েছে। তারা গত পাঁচ বছরে যে পরিমাণ সাফল্য এনেছে, অর্থনীতিতে যে পরিমাণ অবদান রেখেছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, আমাদের আড়াই হাজার স্টার্টআপ সফল হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্টে সাড়ে সাত হাজার স্টার্ট আপ আবেদন করেছে, সবাই সফল হয়নি। কিন্তু এই পাঁচ-দশটা স্টার্টআপ যে পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, অর্থনীতিতে যে পরিমাণ অবদান রেখেছে সেটা অনেক অনেকগুণ বেশি।

সাত আট বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চার-পাঁচ ধরণের স্টার্টআপে আমাদের বিনিয়োগ করা দরকার। যারা বসে আছে, যারা ভালো অবস্থানে আছে, যাদের বেশি প্রফিট নেই, কিন্তু দেশের জন্য প্রয়োজন, যাদের সরকারি দিকনির্দেশনা দরকার। এরকম কোম্পানিতে আমাদের বিনিয়োগ করা দরকার।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কয়েক বছর আগে যেসব স্টার্টআপকে আমরা মাত্র ১০ লাখ টাকা দিয়েছি, তাদের অনেকে এখন কয়েকশ’ মিলিয়ন ডলারের ভ্যালিয়েশন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। দেশের আড়াই হাজার স্টার্ট আপ প্রায় ১৫ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রতি উন্নত দেশের বড় বড় কোম্পানির নজর উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে, ইকো সিস্টেম গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগটা তাদের জন্য লাভজনক হবে। এমন সময়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি স্টার্টআপের জন্য ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে ১৫-২০টি কোম্পানিতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের দেশের স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবো।