
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে রেকর্ড ৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে। কোম্পানির ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা 'আয্যুর' (Azure)-এর চমকপ্রদ বিক্রয় প্রবৃদ্ধি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে পূর্বের বিনিয়োগে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় এই ব্যয় পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
কোম্পানিটির আয় ঘোষণা করার পর বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো জানিয়েছে, আয্যুর থেকে তাদের বার্ষিক বিক্রি ৭৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা বাজারের ৭৪.৬২ বিলিয়ন ডলারের প্রত্যাশাকেও অতিক্রম করেছে।
এই ৩০ বিলিয়ন ডলারের ব্যয় অনুমান হলো মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এক ত্রৈমাসিকে সর্বোচ্চ মূলধনী ব্যয়ের পরিকল্পনা। প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল এবং মেটাও এআই খাতের চাহিদা পূরণে ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। তবে মাইক্রোসফটের এই ব্যয় অন্যদের ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিশ্বব্যাপী শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট মূলধনী ব্যয় এ বছর ৩৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাইক্রোসফট এবং মেটার ইতিবাচক আয় শেয়ারবাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত বাজারমূল্য একদিনেই ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
মাইক্রোসফটের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা অ্যামি হুড বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, "আমাদের এই ব্যয় পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে চুক্তিভিত্তিক এবং নিশ্চিত ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল, যা আমাদের সরবরাহ করতে হবে।"
যদিও মাইক্রোসফটের ক্লাউড ব্যবসা এখনো শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের (AWS) থেকে পিছিয়ে — যারা গত অর্থবছরে ১০৭.৫৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে — তবে আয্যুর বিক্রয় সংখ্যা প্রমাণ করছে, মাইক্রোসফটের এআই খাতে বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই লাভজনক হয়ে উঠেছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক ‘কপাইলট’ (Copilot) টুল বর্তমানে প্রতি মাসে ১০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী পাচ্ছে। এটি প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য প্রকাশ করলো। প্রতিদ্বন্দ্বী গুগলের জেমিনি (Gemini) এর ব্যবহারকারী সংখ্যা ৪৫ কোটি বলে জানানো হয়েছে।