সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ৭ কার্যদিবস পতনের ধারায় রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। এদিন দরপতনের মাধ্যমে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক প্রায় ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
টানা পতনের মাঝেও আজ চার কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিলো সবচেয়ে বেশি। কোম্পানি চারটি হলো: এস আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং সিএন্ডএ টেক্সটাইল।
এস আলম: আগের দিন বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর নেমেছিল ২৯ টাকা ১০ পয়সায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯.৬৬ শতাংশ। শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে বিক্রেতাশূন্য ছিল।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স: বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৮ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৫ টাকা ৪০ পয়সায়। শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় ছিল।
ফার্স্ট ফাইন্যান্স: বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সায়। এ হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫০ পয়সা বা ৯.৮০ শতাংশ।
সিএন্ডএ টেক্সটাইল: বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৮ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮০ পয়সা বা ৯.৬৩ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ১০ পয়সায়। শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় ছিল।
