ঢাকা     ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার সফলতা অর্জন করেছি: পলক

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৬ নভেম্বর ২০২২

ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার সফলতা অর্জন করেছি: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, গত ১৩ বছরে আইসিটি খাতে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার সফলতা অর্জন করেছি এবং সেই সফলতার ভিত্তিতে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা টেকসই, জ্ঞাননির্ভর ও সৃজনশীল ‍‍স্মার্ট বাংলাদেশ‍‍ গড়ে তুলতে চাই।

প্রথমবারের মত বাংলাদেশে ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)’ আয়োজন নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটরিয়ামে এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

এসময় প্রতিমন্ত্রী এ আয়োজনটি আইসিটিতে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শনের দারুণ একটি সুযোগ। একই সঙ্গে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আইসিটি নেতৃত্বদের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে দেয়ারও একটি সুযোগ। আমরা আমাদের সব বন্ধুকে বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও আতিথেয়তার স্বাদ নেয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

পলক আরও বলেন, ১৩ বছর আগে আমাদের মাত্র ৫ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল যা এখন ১৩০ মিলিয়ন। তখন কোন আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি ছিল না, প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। এখন সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং সার্ভিস সেক্টর থেকে সব মিলিয়ে প্রতি বছরে সেটি ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ হল অনলাইন সোর্স অব ওয়ার্কার এর তালিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. উইলিয়াম বি. পাউচার বলেন, আইসিপিসি বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি অন্যতম বিশেষ আয়োজন। আমাদের লক্ষ্য ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের শক্তির উপর নির্ভর করে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা । আর এর জন্য শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন যে চমৎকার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়ার জন্য আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং শ্রেষ্ঠত্বের অভ্যাসটি সবচেয়ে তখনই ভালভাবে গড়ে উঠবে যখন মানুষ এক হবে। আমরা যা করেছি তা পরিমাপের পরিবর্তে আমরা কি করতে পারি তা খুজেঁ বের করতে হবে। আমরা সবার জন্য সুযোগ তৈরি করতে চাই। এ জন্য আইসিপিসির মতো অনুষ্ঠানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমি খুবই উচ্ছ্বসিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ কনটেস্ট এর পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান, হুয়াওয়ের কর্পোরেট কমিউনিকেশনস্ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ড ভিকি ঝ্যাং, জেট ব্রেইন এর বিনিয়োগ বিভাগের এসভিপি এবং গবেষণা ও শিক্ষা বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্ড্রে ইভ্যানভ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সম্মানজনক এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)’ এর এবারের হোস্ট কান্ট্রি হচ্ছে বাংলাদেশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে আইসিপিসি’র ৪৫তম আসরের নির্বাহক এজেন্সি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশের থেকে হোস্ট ইউনিভার্সিটি ‘ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)।

৪৪তম আইসিপিসি প্রতিযোগিতায় এশিয়া পশ্চিম অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান অর্জন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এ বছর ৭০ টি দেশ থেকে প্রায় ১৩৭টি দল থেকে মেধাবী প্রতিযোগীরা এই কনটেস্টের চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিচ্ছে। উক্ত আয়োজনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ২০০ জন আইসিপিসি রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর ছাড়াও কর্মকর্তাসহ অন্তত এক হাজারেরও বেশি বিদেশি অতিথির আগমন হচ্ছে বাংলাদেশে। ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে আগামী ৮ নভেম্বর ২০২২ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকা ২০২২’।

কনটেস্টের মূল প্রবলেম সলভিং অংশটি অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর যেখানে ৬ ঘন্টা সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারীগণ সমস্যা সমাধান করবেন তাদের দক্ষতা ও মেধার মাধ্যমে। আয়োজনটির চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষনা করা হবে ১০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে।