বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাজার হবে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বুধবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের কনজিউমার মার্কেটে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ দ্রুততম প্রবৃদ্ধি আশা করতে পারে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক এবং অর্থনৈতিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ প্রকাশিত ‘দি ফ্লাইং ডাচম্যান’-এর ‘এশিয়া’স শপার্স ইন ২০৩০’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে এশিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এশিয়া আরও পরিণত ও সম্পদশালী হয়ে ওঠার পাশাপাশি এখানকার পারিবারিক কাঠামো আরও ছোট হয়ে আসবে। এতে এশিয়াজুড়ে ক্রেতাদের খরচের রূপরেখায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চের ডেটাবেজ অনুযায়ী, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের কনজিউমার মার্কেট যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে কনজিউমার মার্কেটে অন্যতম শীর্ষস্থান অর্জন করবে এশিয়া। চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পর চতুর্থ বৃহত্তম কনজিউমার মার্কেট হিসেবে ব্রাজিলকে অতিক্রম করে যাবে ইন্দোনেশিয়া। এই দশকে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও ভারত ক্রেতাদের ব্যয়ের সর্বাধিক প্রবৃদ্ধি দেখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মার্কেট হিসেবে বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে সারা বিশ্বের নবম বৃহত্তম কনজিউমার মার্কেট হবে। বিমা, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, হাউজিং, প্যাকেজ হলিডে, বিনোদন, যানবাহন ক্রয়, আর্থিক এবং অন্যান্য সেবায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০৩০ সালে ৮০০ মিলিয়ন এবং ২০৪০ সালে ৮২০ মিলিয়ন কনজিউমার নিয়ে আকারের দিক থেকে বৃহত্তম কনজিউমার মার্কেট হিসেবে চীন তার শীর্ষস্থান ধরে রাখবে বলে আশা করছে এইচএসবিসি।
