ঢাকা     ০৯ মে ২০২৪ ||  ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

বেশি দামে বাংলাদেশি পোশাক কিনবে বিদেশি ক্রেতারা

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ৯ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:৫৩, ১২ নভেম্বর ২০২৩

বেশি দামে বাংলাদেশি পোশাক কিনবে বিদেশি ক্রেতারা

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্রয় মূল্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পোশাক ক্রেতাদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ)।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন এএএফএর প্রধান নির্বাহী স্টিফেন লামার। পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর ফলে ৫-৬ শতাংশ বাড়তি উৎপাদন ব্যয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

গত ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়মূল্য বাড়ানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন এএএফএ। প্রায় ১ হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এ সংগঠনের সদস্য। এদের মধ্যে এইচঅ্যান্ডএম এবং গ্যাপের মতো বড় ব্র্যান্ডও উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের সাথে যাদের বড় ব্যবসা রয়েছে।

কারখানা মালিকরা বলছেন, মজুরি বাড়ানোর ফলে তাদের উৎপাদন ব্যয় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাংশ বেড়ে যাবে। কারণ, শ্রমঘন এ শিল্পের ১০ থেকে ১৩ শতাংশ ব্যয়ই হয় মজুরিতে। ৫ থেকে ৬ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলাদেশের পোশাক কেনার ক্ষেত্রে তা দেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে স্টিফেন লামার বলেন, 'অবশ্যই।'

ইমেইল বার্তায় তিনি জানান, 'মজুরি বাড়ানোকে সমর্থন দিতে আমরা দায়িত্বশীল ক্রয় চর্চার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা আমরা এবং আমাদের সংগঠনের সদস্যরা একাধিকবার পুনর্ব্যক্ত করেছি। সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য প্রতিবছর ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার আহ্বান আমরা বরাবরই জানিয়ে আসছি।'

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। এ শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ১৬ শতাংশ।