ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিলো ৯ কোম্পানির শেয়ারে। লেনদেনের ঘণ্টা দুয়েক পরই বিক্রেতা উধাও হয়ে যায় এসব কোম্পানির শেয়ারে। এতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার হল্টেড হয়ে মূল্য স্পর্শ করছে সার্কিট ব্রেকারে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, উসমানিয়া গ্লাস, ঢাকা ডাইং, পেপার প্রসেসিং, জেমিনি সি ফুড, সিমটেক্স, অলটেক্স, মালেক স্পিনিং এবং সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিউক্যালস। আরও দাম বাড়বে, এই প্রত্যাশায় এসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসইর তথ্য মতে, উসমানিয়া গ্লাসের শেয়ার মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সবশেষ ৫৭ টাকায় লেনদেন হয়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে ৬২ টাকা ৭০ পয়সা হয়। এরপর আর কোনো বিক্রেতা না থাকায় এর শেয়ারের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত দ্যা ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ২৪ টাকায়। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ২৪ টাকা ৪০ পয়সায়। শেয়ারটির দাম ১০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ বেলা ১১টায় লেনদেন হয় ২৬ টাকা ৪০ পয়সায়। এরপরই বিক্রেতা সংকটে পড়ে শেয়ারটি।
মঙ্গলবারও হলটেড থাকা পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয় ১৫২ টাকা ১০ পয়সায়। এর আগের দিন সর্বশেষ লেনদেন হয়েছি ১৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ শেয়ারটির দাম ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ বাড়ায় আবারও বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। জেমিনি সি ফুডের শেয়ারের দাম আগের কার্যদিবসের চেয়ে সর্বোচ্চ বেড়ে ২১৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। এরপর বিক্রেতা শূন্য হয় এটি।
বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে ২ টাকা ১০ পয়সা অর্থাৎ ৯ দশমিক ৮১ পয়সা বেড়ে বৃহস্পতিবার ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন শুরু হয়। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা শেয়ারের দাম আরও বাড়বে তাই যাদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার রয়েছে তারা বিক্রি বন্ধ করে দেন। একই খাতের কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে ১ টাকা ৬০ পয়সা দাম বেড়েছে। এরপর থেকে শেয়ারটিতে বিক্রেতা নেই। মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেনের পর বিক্রেতা সংকটে পড়েছে কোম্পানিটি।
ওষুধ খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মা ১৮ টাকা ৮০ পয়সায় বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয়। তবে শেয়ারটির দাম ১ টাকা ৮০ পয়সা অর্থাৎ ২০ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছার পর থেকে বিক্রেতা সংকটে পড়েছে। এছাড়া সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানির শেয়ারেও ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে।
