বিশ্বমন্দায়ও ২০২১ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাজারে আবারো দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে তৃতীয় অবস্থানে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলো। এদিকে চলতি বছরের আটমাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানির ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশই ছিল বাংলাদেশের। এসময় বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ দেশগুলো।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য পরিসংখ্যান পর্যালোচনা-২০২২ এ দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামের অংশ ২০২০ সালের ৬.৪০ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ৫.৮০ শতাংশে নেমে গেছে। এসময় বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অংশ ৬.৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি দৃঢ়ভাবে বেড়েছে এবং বার্ষিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। ২০২০ সালে, এই রপ্তানি একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছিল এবং ভিয়েতনামের রপ্তানির ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিপরীতে বাংলাদেশে ১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
২০২০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানি বাজারে চীনের অংশ ছিলো ৩১.৬০ শতাংশ। যা ২০২১ সালে ৩২.৮০ শতাংশে উন্নীত করে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে। এ তালিকায় ভিয়েতনামের পরেই রয়েছে যথাক্রমে তুরস্ক ও ভারত। এরপরে রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং পাকিস্তান।
এদিকে ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট ইইউ’র এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ইইউ বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিল। আট মাসে ইইউর পোশাক আমদানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউ। যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানির ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ নিয়ে ইউরোপের পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে। চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির প্রধান শীর্ষস্থানীয় উৎস এবং ২৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস তুরস্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর ভারত থেকে ৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইউ। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্য শীর্ষ দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪২ দশমিক ২১ শতাংশ, পাকিস্তান ৩১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়া ৩৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
