ঢাকা     ২০ মে ২০২৪ ||  ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেল নগদসহ ৮ প্রতিষ্ঠান

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২২ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ২০:২০, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেল নগদসহ ৮ প্রতিষ্ঠান

৫২টি আবেদনের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদসহ দুই প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেয়েছে। এছাড়া নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে মোট ৮টি ডি‌জিটাল ব্যাংক।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ব্যাংক দুটিকে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এলওআই পাওয়া ডি‌জিটাল ব্যাংক দুটি হ‌লো— নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি এবং কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মোট আটটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নীতিগত অনুম‌তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হ‌য়ে‌ছে। প্রথ‌মে দু‌টি প্রতিষ্ঠানকে এলওআই দেয়া হ‌য়ে‌ছে। পর্যায়ক্র‌মে আ‌রো ছয়টি পা‌বে। এগুলো ছাড়া আ‌রও তিন‌টি প্র‌তিষ্ঠান‌কে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তারা ব্যাং‌কের স‌ঙ্গে জ‌ড়িত। তা‌দের‌কে নীতিমালা দেওয়া হ‌বে। এর মাধ্য‌মে ডি‌জিটাল ব্যাং‌কিং উইং কার্যক্রম প‌রিচালনা কর‌তে পার‌বে। এর মধ্যে আ‌ছে ব্র্যাক ব্যাং‌কের এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশের বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ব্যাংক এ‌শিয়ার ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি ও ডি‌জি টেন ব্যাংক পিএলসি।

ডি‌জি টেন জোটে আছে- সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।

এছাড়া আ‌রো কিছু প্র‌তিষ্ঠান‌কে ছয় মাস পর অনুম‌তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হ‌য়ে‌ছে। এগুলো হ‌লো- স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি।

মেজবাউল হক আরো বলেন, ৫২ প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। আবেদনগুলো তিনটা কমিটি মূল্যায়ন করেছে। আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকনোলজি, সিকিউরিটিসহ আরও কিছু বিষয় মিলে ১০০ স্কোর ধরে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে যারা ৬০’র বেশি স্কোর পেয়েছে তাদের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হলেও ইন্স্যুরেন্সের একটিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে প্রথাগত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগে ৫০০ কোটি টাকা। এ ব্যাংকে প্রত্যেক স্পনসরের সর্বনিম্ন শেয়ারহোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা (সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১২.৫ কোটি টাকা)।

পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী একটি স্পনসরকে যৌথভাবে ক্যাপিটাল মেইনটেন্যান্স চুক্তি (সিএমএ) স্বাক্ষর করতে হবে। তবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোন সময়ে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপি হয়েছেন এমন কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের স্পনসর হিসেবে আবেদন করার যোগ্য হবেন না। একইভাবে ঋণখেলাপি অবস্থা বা তার বিরুদ্ধে কোনো আদালত ট্রাইব্যুনালে কোনো নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায়ের অপেক্ষায় থাকলেও স্পনসর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না।