ঢাকা     ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ঋণের কিস্তি আদায়ে কঠোর হচ্ছে ব্যাংক

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

ঋণের কিস্তি আদায়ে কঠোর হচ্ছে ব্যাংক

করোনা মহামারীতে ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছাড় থাকলেও কিস্তি আদায়ে কঠোর হচ্ছে ব্যাংকগুলো। ২০২০ সালে কোনো কিস্তি পরিশোধ না করেই খেলাপি হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন ঋণগ্রহীতারা। তবে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা নতুন করে আর বাড়ানো হচ্ছে না। এর ফলে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঋণ শ্রেণীকরণের মেয়াদ গণনা শুরু হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে সময়সীমা না বাড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছেন দেশের সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা। একই অভিমত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও। গতকালের বৈঠকে গভর্নর ফজলে কবির ঋণ পরিশোধে বাধ্যবাধকতার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ব্যাংক এমডিদের মতামত জানতে চান। তখন ব্যাংক এমডিরা বলেন, উদ্যোক্তাদের কথা চিন্তা করে বছরব্যাপীই ঋণ পরিশোধে ছাড় দেয়া হয়েছে। এখন নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো ঠিক হবে না। ব্যাংকের অর্থ ব্যাংকে ফেরার সময় এসেছে। ব্যাংক নির্বাহীদের এ দাবির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ঐকমত্য পোষণ করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।

২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় ঋণ শ্রেণীকরণের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়েছিল। তখন পর্ষদ থেকে এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দেয়া হয়। এরপর গতকাল ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরাও একই মতামত দেয়ায় ঋণ পরিশোধে শিথিলতার মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাধারণ সম্পাদক ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে ঋণ পরিশোধে শিথিলতা দেয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে তখন আমরা সবাই স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু এ ধরনের সুবিধা দীর্ঘমেয়াদে চলতে পারে না। এজন্য এবিবির পক্ষ থেকে আমরা ঋণ শ্রেণীকরণের মেয়াদ না বাড়ানোর অনুরোধ করেছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের মতামতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মেয়াদ আবারো বাড়ানো হলে ব্যাংকগুলোর পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হতো। এখন ব্যাংকের অর্থ ব্যাংকে ফেরার সময় হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মহামারী সৃষ্ট দুর্যোগ থেকে দেশের উদ্যোক্তাদের বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্যাকেজের সিংহভাগই বাস্তবায়ন হচ্ছে ব্যাংক খাতের মাধ্যমে। ব্যাংকগুলো এরই মধ্যে বৃহৎ শিল্পের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করেছে।