ঢাকা     ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

১০০ জনেই পাচার করেছেন আড়াই হাজার কোটি টাকা

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

১০০ জনেই পাচার করেছেন আড়াই হাজার কোটি টাকা

বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আর এ অর্থ পাচারের সঙ্গে শতাধিক ব্যক্তি জড়িত। তবে পাচারকৃত টাকা ও ব্যক্তির সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। এ বিষয়ে দুদক ছাড়াও প্রতিবেদন দিয়েছে আরো ৪টি সংস্থা।

প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অর্থপাচারের তথ্য দিতে সব মিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা রিপোর্ট দিলে তা আদালতে দাখিল করা হবে। আর কানাডায় অর্থপাচারের বিষয়ে সে দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইএইউ)।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এখন পর্যন্ত যে হিসাব করেছি তাতে দেখা যাচ্ছে যে এখানে শতাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মত লন্ডারিং হয়েছে। তবে এই টাকাটাই শেষ না। কারণ যে মামলাগুলো ইনকুয়েরি এবং ইনভেস্টিগেশনে আছে সেখানে টাকার পরিমাণ, মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। তবে আজকে পর্যন্ত যে তথ্য উপাত্ত আমরা আদালতে দাখিল করেছি তাতে আমার হিসাবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং শতাধিক ব্যক্তি এখানে জড়িত।

সিআইডি জানিয়েছে, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ সাতজন হ্যাকারদের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কায় অর্থ পাচার করেছে। শুধুমাত্র ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং এনামুল হক আরমানই ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯১ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চেয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়।