ঢাকা     ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ৩০ জুন ২০২১

সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেশে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে দেশের প্রায় এক বছরের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব।

মঙ্গলবার দিনশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক শূন্য ৮২ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রিজার্ভের উল্লম্ফনে বড় ভূমিকা রাখা রেমিট্যান্স প্রবাহেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি জুনের ২৮ তারিখ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। যেখানে গত বছরের জুনের প্রথম ২৮ দিনে দেশে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। আর চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার দুদিন বাকি থাকতেই প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৫৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এ হিসাবে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ বলছে, চলমান মহামারীর মধ্যেই রিজার্ভের আকার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর প্রধান কারণ প্রবাসী আয়ের উল্লম্ফন ও বিদেশী ঋণের উচ্চপ্রবাহ। আবার আমদানির অর্থ পরিশোধের নিম্নমুখিতা ও ধীরগতি হলেও রফতানি পুনরুদ্ধার রিজার্ভের আকারকে বড় করেছে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল, ২০২০ সালের এপ্রিলে তা গতি পেতে শুরু করে। ডিসেম্বর নাগাদ যা স্পর্শ করে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক। এরপর চলতি বছরে রিজার্ভে আরো ৩ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হয়েছে।

রিজার্ভে থাকা অর্থ বিশ্বের শক্তিশালী ১১টি মুদ্রায় সংরক্ষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি রাখা হয় ইউএস ডলারে। প্রয়োজন অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার এ ভাণ্ডার থেকে স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। নিজ নিজ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল শেষে ভারতের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৫৩৬ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছিল বাংলাদেশের রিজার্ভ। আর পাকিস্তানের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে নেপালের রিজার্ভ উন্নীত হয়েছিল ১১ বিলিয়ন ডলারে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ রয়েছে চীনের। দেশটির রিজার্ভের আকার ৩ হাজার ১৯৮ বিলিয়ন ডলার।