পুঁজিবাজারে তিন মাসের বেশি সময় ধরে লেনদেনের শীর্ষ থাকা সাধারণ বীমা খাতকে সরিয়ে গত তিনদিন ধরে লেনদেনে আধিপত্য বিস্তার করছে বস্ত্র খাত। সোমবার ও গতকাল দুদিনই বস্ত্র খাত আধিপত্য করছে। আজও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো আধিপত্য ধরে রেখেছে।
গতকাল আলোচ্য খাতটির ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে মাত্র আটটির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে পাঁচটির শেয়ারদর। এর আগে গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে বস্ত্র খাত লেনদেনের শীর্ষে ছিল, সেদিন খাতটির ৮৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছিল।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে সাধারণ বীমা খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে থাকে। এরই মাধ্যমে আলোচ্য সময়ে খাতটি বেশির ভাগ সময় লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে। তবে গত দুদিন বিনিয়োগকরীদরে মাঝে বস্ত্র খাতের আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে, তাই বস্ত্র খাত দুদিন লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ০৬ শতাংশ দখলে নিয়েছে সাধারণ বীমা খাত। ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তার কিছু সময় পরেই সূচকের সামান্য পতন ঘটে। পরে আবার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ফেরে সূচক। সারা দিন উত্থান ও পতনের মাধ্যমে দিনশেষে সূচকের নিম্নমুখী অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১০৫ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ১২৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে।
এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩০৪ দশমিক ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৩০৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ১৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে গতকাল ২ হাজার ২০৫ দশমিক ৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ২২০ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ২০৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
