শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া ১২ দিনের প্রতি কার্যদিবসেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করলো মোবাইল অপারেটর রবির শেয়ার। মাত্র ১২ কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ২৪ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এর আগে কোনো কোম্পানি লেনদেন শুরুর প্রথম ১২ কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করতে পারেনি। রবির আগে টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার রেকর্ড ছিল ওয়ালটনের। ওয়ালটনের শেয়ার দাম লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবসে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
সোমবার লেনদেনের শুরুতে ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা করে কোম্পানিটির শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা করে তিন কোটি ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৭টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এর মাধ্যমে দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে কোম্পানিটি। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসার ঘর খালি পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা সংকট রয়েছে।
যে বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে রবির শেয়ার পেয়েছেন তারা তা ধরে রাখলে ১২ কার্যদিবসেই তাদের টাকার পরিমান ৪৭৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। এর ফলে পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম মাত্র ১২ কার্যদিবসেই সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ২৪ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
১০ টাকা অভিহিতমূল্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ইস্যু করা রবির শেয়ার লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম দফায় দফায় বাড়ছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন নিয়ে রবি আজিয়াটার আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচের জন্য রবিকে অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এই টাকা তোলার জন্য কম্পানিটি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করে। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার কম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ইস্যু করা হয়েছে।