ঢাকা     ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  ১৪ চৈত্র ১৪৩০

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ৪ শতাংশ সুদে আসছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৬:১৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২১

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ৪ শতাংশ সুদে আসছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ভূমিকা শীর্ষক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।

প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবারই (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। আসাদুল ইসলাম বলেন, একটি প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে যাচ্ছি। এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাব। অক্টোবর মাসে এটা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল সেটার ডিসবার্সমেন্টটা ভালো ছিল না। অনেক চাপ প্রয়োগ করেছি, ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটা অনীহাও ছিল। আর একটা পরিস্থিতি তারা ফেস করেছে সেটা হল তাদের কাছে (ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা) তথ্য ছিল না। এসএমই সেক্টরের গ্রাহকদের সঙ্গে তাদের পরিচিতিটা কম।

সিনিয়র সচিব বলেন, গত তিন মাসে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক, এসএমই ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফের সঙ্গে অনেক আলোচনা করেছি। বড় এমএফআই (ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা), ক্ষুদ্র এমএফআইগুলোর সঙ্গে আমরা বসেছি। অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটা টিম করে দিয়েছিলাম, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ডিসেম্বরের মধ্যে এটি (প্রণোদনা প্যাকেজ) কেবিনেটে পাঠাবো। ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থ বিভাগ তাদের মতামত দিয়ে এটিকে অনুমোদন করে দেয়।

এখন বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকা ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি দেবে, সেখানে সরকার সাবসিডি দেবে। এমন একটি প্রস্তাবনা পাঠাচ্ছি। গ্রাহক পর্যায়ে এটার ইন্টারেস্ট রেট হবে ৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, আমরা ধরছি সেই অংশটা (যাদের প্রণোদনা দেয়া হবে); কুটির, ক্ষুদ্র এবং মাইক্রো এভাবেই আমরা ধরছি। মাঝারি পর্যায়েরটাও (মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা) আমরা আনছি না। ডাউন দ্য লাইন যারা আছে, যাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। সেই গ্রুপটাকে রিচ করার জন্যই আমরা এই প্যাকেজটা পরিকল্পনা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলছিলেন এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা যারা আছে, ক্ষুদ্র উৎপাদক যারা আছেন তাদের কাছে আমাদের পৌঁছানোটা খুব জরুরি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পিকেএসএফ করোনাকালে অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সবাই সম্মিলিতভাবে এভাবে কাজ না করলে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশে সফল হতে পারত না।

তিনি আরও বলেন, পিকেএসএফ দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কাজ করে চলেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। আগে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ ছিল, এখন সেটা ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যও প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। পিকেএসএফের মতো প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা এবং সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, সরকার পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিতরণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। এরমধ্যে দেয়া আড়াইশো কোটি টাকা আমরা বিতরণ করেছি। আরও আড়াইশো কোটি টাকা আমরা পাচ্ছি দু-একদিনের মধ্যে, সেটাও বিতরণ করা হবে।