ঢাকা     ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

আপডেট: ১৭:২৬, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে রফতানি বন্ধ করে দেয়ার সাড়ে ৩ মাস পর বাংলাদেশে ফের পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিল ভারত সরকার।

কোনো ধরনের মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এই পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। তবে ১ জানুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ২ জানুয়ারি থেকেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত যাদব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা জানানো জয়। এরপর রাতেই পেঁয়াজ রফতানি শুরুর বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশী আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন ও পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বলে সোমবার রাতে একটি পত্রের কপি দিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকরা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। এছাড়া পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।  

তারা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মেলায় আমরা এরই মধ্যে এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে যেহেতু পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করেনি ভারত সরকার সেহেতু আমদানিকারকরা যে দামে পেয়াঁজ কিনবে সেই দামেই আমদানি করতে পারবে। তবে প্রতিটন পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২৫০ ডলার মূল্যে এলসি খোলা হবে বলেও জানান তারা।

গত ১৪ সেপ্টেম্বরে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম তিন গুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় বন্যায় এবার গ্রীষ্মকালীন ফসল মার খাওয়ার পর সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। ভারত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রফতানিকারক দেশ। প্রতি বছর দেশটি প্রায় ২০ লাখ টন পেঁয়াজ রফতানি করে।  

ভারত পেঁয়াজ রফতানির বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। একপর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকাতেও বিক্রি হয়। ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিসর, তুরস্ক, চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করা হয়। পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ রকম নানা ধরনের পদক্ষেপে দেশের বাজারে কমে আসে পেঁয়াজের দাম।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সরকারি পণ্য বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।