ঢাকা     ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

ব্যাংক খোলা থাকলেও নেই গ্রাহক

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ১৫ এপ্রিল ২০২১

ব্যাংক খোলা থাকলেও নেই গ্রাহক

দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখা হলেও নেই গ্রাহকের উপস্থিতি। একই অবস্থা ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতেও। দোকানপাট বন্ধ থাকায় বিকাশ, রকেট ও নগদের লেনদেনও তেমন একটা চোখে পরেনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের উপস্থিতি কম। বি‌শেষ প্র‌য়োজন ছাড়া কেউ ব্যাংকে আস‌ছেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংক বন্ধ থাকার খব‌রে গত তিন‌দিন গ্রাহক বেশি করে টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া বিধিনিষেধের কার‌ণে গণপ‌রিবহন বন্ধ থাকায় অনে‌কে বের হ‌তে পার‌ছেন না। এসব কার‌ণে গ্রাহ‌কের চাপ কম।

লকডাউনে বিধিনিষেধের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। নির্দেশনার আলোকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা সার্কুলার বলা হয়, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।

সোনালি ব্যাংক মতিঝিল শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের শাখায় আজ পূর্ণ জনবল আছে, সে তুলনায় গ্রাহক নেই। লকডাউনের কারনে যাদের খুব ইমার্জেন্সি তারা ছাড়া অন্যরা ব্যাংকে আসছেন না।

সোনালী ব্যাংকে আসা এক গ্রাহক বলেন, ব্যাংক খোলা আছে শুনে এফডিআর এর টাকা জমা দিলাম। কোনো লাইন ধরতে হয়নি। কারণ আমি একাই ছিলাম।

ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ গ্রাহক কম আসার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো-লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ এমন খবরে অনেকে আগেই টাকা উত্তোলন করেছেন। তাছাড়া রাস্তায় বের হতে মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন হচ্ছে, রাস্তায় চেকপোস্ট বসেছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার বাড়ছে। সব মিলিয়ে রোজায় বাড়তি ঝামেলা এড়িয়ে চলার জন্য গ্রাহকের উপস্থিতি নেই।

এটিএম বুথে আসা এক ব্যক্তি বলেন, সবারই মৃত্যুর ভয় আছে তাই কেউ বের হচ্ছেন না। আমার বাসার কাছে এটিএম বুথ না থাকলে আমিও আজ টাকার জন্য বের হতাম না। গতকালের মৃত্যুর খবর শুনে আর ব্যাংকমুখী হওয়ার চিন্তা আপাতত নেই।