ঢাকা     ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

অনলাইন প্রতারণা পর্ব-৪

৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি না দিলে পণ্যমূল্যের দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ১১ মার্চ ২০২১

৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি না দিলে পণ্যমূল্যের দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে ব্যবসা করার নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী কোম্পানিটিকে ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া অগ্রিম টাকা নিয়ে কোনো অর্ডার নিলে ঢাকা শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচদিন এবং ভিন্ন শহর বা গ্রামে হলে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে পণ্যমূল্যের দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেলের কর্মকর্তারা জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন মেনে ইভ্যালিসহ সমস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ই-কমার্স সহজীকরণ এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়পক্ষের অসন্তোষ নিরসনের স্বার্থে ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতি অব্যাহত রাখতে ইভ্যালিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা আরো জানান, ক্রেতার আস্থা অর্জনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সময়মত সঠিক পণ্য ডেলিভারি দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমরা ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা, ২০২১' প্রণয়ন করছি। ২১ মার্চ কনসালটেশন মিটিংয়ের পর আগামী মাসের মধ্যেই নির্দেশিকাটি জারি করা হবে। ইভ্যালিসহ ই-কমার্সখাতের সকল কোম্পানিকে ওই নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।
      
নির্দেশিকার খসড়ায় বলা হয়েছে, অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা পণ্য একই শহরের মধ্যে হলে সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মধ্যে এবং ভিন্ন শহর বা গ্রামে হলে ১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করতে হবে। আর ক্যাশ অন ডেলিভারি ও আংশিক ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে একই শহরে সর্বোচ্চ সাত দিন এবং ভিন্ন শহর বা গ্রামে হলে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে।   

এই সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না পেলে ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে, এক্ষেত্রে কোম্পানিকে পণ্যমূল্যের দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সম্প্রতি ইভ্যালি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়ে বলেছে, অনলাইনে পণ্য বেচাকেনার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পণ্য বিক্রির কথা বলে মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিচ্ছে, কিন্তু অনেককেই সময়মতো পণ্য দিচ্ছে না। গ্রাহকরা যে পণ্যের অর্ডার দিচ্ছেন, অনেক সময় তারা পাচ্ছেন অন্য ধরনের পণ্য। এমনকি মানহীন পণ্যও সরবরাহ করা হচ্ছে।

পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে ইভ্যালি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা নিজের কাছে রেখে দিচ্ছে। আর এসবের মাধ্যমে ইভ্যালি দণ্ডবিধি, ১৮৬০–এর পাঁচটি ধারা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯–এর দুটি ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮–এর একটি ধারা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।