ঢাকা     ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

শেয়ারবাজারে রেকর্ড ডেট কী?

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

শেয়ারবাজারে রেকর্ড ডেট কী?

পুঁজিবাজারে রেকর্ড ডেট হচ্ছে কোম্পানি নির্ধারিত একটি তারিখ, যে তারিখ পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডারের নাম কোম্পানির রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত থাকলে তিনি বার্ষিক সাধারণ সভা অথবা বিশেষ সাধারণ সভায় যোগদান এবং লভ্যাংশ প্রাপ্তি, রাইট শেয়ার প্রস্তাবে আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হন।

রেকর্ড ডেটের পর কোনো শেয়ারহোল্ডার তার শেয়ার বিক্রি করে দিলেও তিনি ঘোষিত লভ্যাংশ প্রাপ্তি বা সভায় যোগদানের জন্য যোগ্য বিবেচিত হন। অন্যদিকে রেকর্ড ডেটের পর কোনো বিনিয়োগকারী সংশ্লিষ্ট শেয়ার কিনলে তিনি লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হন না। এ কারণে সাধারণত রেকর্ড ডেটের পর সংশ্লিষ্ট শেয়ারের মূল্য কিছুটা কমে যায়। একে মূল্য সমন্বয় বলা হয়।

কোনো কোম্পানি বোনাস বা স্টক ডিভিডেন্ড দিলে রেকর্ড তারিখের পর তার সমন্বয় পরবর্তী মূল্যকে দিনের ভিত্তি মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধরা যাক, রেকর্ড তারিখের আগে একটি ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ছিল ১৭ টাকা। ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখের পর প্রথম কার্যদিবসে এ শেয়ারের সমন্বয় পরবর্তী সূচনা মূল্য ধরা হবে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। দিনশেষে যদি শেয়ারটি ক্লোজিং মূল্য ১৪ টাকা ৮০ পয়সার বেশি হয়, তাহলে এর দাম বেড়েছে বলে গণ্য হবে। অন্যদিকে শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য ১৪ টাকা ৮০ পয়সার কম হলে এর মূল্য কমেছে বলে গণ্য হবে। শেয়ারটির মূল্য পরিবর্তনের হার নিরুপণ করা হবে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা দরের ভিত্তিতে।

রেকর্ড তারিখের পর সংশ্লিষ্ট শেয়ারকে এক্স-ডিভিডেন্ড শেয়ার বলা হয়। কোথাও কোথাও একে এক্স-ডেট শেয়ারও বলা হয়ে থাকে। রেকর্ড তারিখের আগে ক্যাটাগরি ভেদে কয়েকদিন স্পট বা নগদ মার্কেটে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার কেনা-বেচা হয়ে থাকে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এ, বি ও এন ক্যাটাগরির শেয়ার রেকর্ড তারিখের ঠিক আগের তিন কার্যদিবস স্পট মার্কেটে কেনাবেচা হয়। অন্যদিকে জেড ক্যাটাগরির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হয় নয় কার্যদিবস।