ঢাকা     ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Biz Tech 24 :: বিজ টেক ২৪

অনিয়ম রোধে ব্যাংক পরিচালক ও এমডিদের সম্পদের হিসাব নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বিজটেক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৩:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

অনিয়ম রোধে ব্যাংক পরিচালক ও এমডিদের সম্পদের হিসাব নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী হিসেবে দেশের ব্যাংক খাতের আলোচিত প্রতিটি কেলেঙ্কারিতে উঠে আসছে ব্যাংকের পরিচালক-ব্যাংকারদের নাম। অভিযুক্ত এসব পরিচালক ও ব্যাংকারদের নামে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশে পাচারেরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালক ও শীর্ষ ব্যাংকারদের সম্পদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকের সব পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার নিম্নতর দুই পদের কর্মকর্তাদের আয় ও সম্পদের তথ্য নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে জমা দিতে হবে। এ সম্পদের তালিকায় থাকছে বাণিজ্যিক, আর্থিক, কৃষি, শিল্পসহ অন্যান্য ব্যবসার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য বিবরণ। পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণও লিখিতভাবে পর্ষদের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক পঞ্জিকা বর্ষ (ক্যালেন্ডার ইয়ার) শেষ হওয়ার পর পরবর্তী বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে এ সম্পদের পরিসংখ্যান জমা দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ বছর থেকেই প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক ও শীর্ষ ব্যাংকারদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো শুরু হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও শীর্ষ ব্যাংকারদের ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের সম্পদের তথ্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে দাখিল করতে হবে।

আইনে থাকলেও এতদিন পরিচালক ও শীর্ষ ব্যাংকারদের সম্পদের তথ্য জমা দেয়ার বিষয়টি যথাযথভাবে পালিত হয়নি বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইনে শুরু থেকেই পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সম্পদের তথ্য জমা দেয়ার নির্দেশনা আছে। কিন্তু এতদিন ব্যাংকগুলো ঐচ্ছিক কাজ হিসেবে এটি পালন করত। তবে এখন থেকে এ বিষয়ে আর কোনো শৈথিল্য দেখানো হবে না। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল ব্যাংকগুলো পরিদর্শনের সময় পরিচালক ও শীর্ষ ব্যাংকারদের সম্পদের তথ্য ঠিকমতো জমা হচ্ছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকেও জমা দেবে। এর মাধ্যমে যেকোনো অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তকাজ সহজ হবে।