কোনো কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করা প্রত্যেক বিনিয়োগকারীই শেয়ার পাবেন। তবে সে ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি মার্কেটে ওই আবেদনকারীর কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংক্রান্ত মূল্যায়ন কমিটি।
রোববার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ইলেকট্রনিক্স সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) হালনাগাদ করা, লট পদ্ধতি বাতিল করে আবেদন ফি নির্ধারণ করা এবং নতুন কোম্পানির লেনদেন চালুর সময় কমিয়ে আনার বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সভা শেষ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএসইসি পরিচালক ও গঠিত কমিটির সভাপতি মো. মনসুর রহমান। এসময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তিনজন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) তিনজন এবং সিডিবিএলের দুজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকলে আইপিওতে আবেদন করা যাবে। এ বিষয়টি কমিশনের কাছে প্রস্তাব করবে গঠিত কমিটি। এছাড়া লটারির প্রথা বাতিল করে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় বিনিয়োগকারীদের বিওতে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে।
এদিকে আবেদন করা সব বিনিয়োগকারীকে শেয়ার বরাদ্দ দিতে সবার আগে ইএসএস হালনাগাদ করার কথা ভাবছে কমিটি। সেক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজ ও সিডিবিএলে শেয়ারের লট পদ্ধতির পরিবর্তে নির্ধারিত আবেদন ফি অনুযায়ী তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। আর সিডিবিএল ও ব্রোকারেজ হাউজ ছাড়াও ইএসএস সিস্টেমে মার্চেন্ট ব্যাংকের তথ্যও হালনাগাদ করা হবে।
আরও জানা গেছে, আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে শেয়ার লট প্রথা বাতিল করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নির্ধারণ করা হবে। মোট আবেদনকারী অনুযায়ী শেয়ার বরাদ্দ দিয়ে বাকি টাকা বিও একাউন্টে ফেরত দেয়া হবে।
বিষয়টি আরো পরিস্কার করার জন্য ধরে নেয়া যাক, কোনো কোম্পানি ১ কোটি শেয়ার বাজারে ছাড়ল, আবেদন করলো ২০ লাখ। এক্ষেত্রে ১ কোটি শেয়ার ২০ লাখ বিনিয়োগকারীর মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারী বণ্টন করা শেয়ার পাবেন। ওই শেয়ার অনুযায়ী ব্রোকার হাউজ অথবা মার্চেন্ট ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে রেখে বাকি টাকা বিনিয়োগকারীদের বিও একাউন্টে ফেরত দেবে।
আর সাবস্ক্রিপশন চালু হওয়ার পর থেকে লেনদেন চালু পর্যন্ত সময় কমিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে প্রস্তাব করবে কমিটি। বর্তমানে সাবস্ক্রিপশন শুরু হওয়ার পর থেকে লেনদেন চালু হতে ৪৫ দিন সময় লাগে। এ সময় কমিয়ে ৩০ দিন করার বিষয়ে প্রস্তাব করা হবে।
